মানবাধিকার লঙ্ঘন সীমা অতিক্রম করছে: আসক মহাসচিব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের যতটা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের আছে, সেই সীমা প্রায় অতিক্রম করতে চলেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মহাসচিব মো. নূর খান। তিনি বলেছেন, গেল বছরে মানবাধিকার এমন একটি জায়গায় উপনীত হয়েছে, যেটি আমাদের সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এটিকে বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২১: আসকের পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলোর বাদি হচ্ছেন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা তাদের সহযোগী বা অঙ্গসংগঠনের কোনও নেতাকর্মী। আর ভিকটিম হচ্ছে মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, নারী অধিকার কর্মীসহ যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এবং বিরোধী দল ও বিরোধী দলের মানুষরাই এই আইনে করা মামলার শিকার হচ্ছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মো. নূর খান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে এবং সে বিষয়ে আমরা সোচ্চার রয়েছি। অনেকগুলো ক্ষেত্রেই আমরা অনুসন্ধান শেষ করেছি। আমরা দেখেছি ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ বা যে কোনও নামেই হোক এসব হচ্ছে এবং সেগুলো হলো ঠান্ডা মাথায় খুন। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যারা নীতি নির্ধারক; তারা যে সরকারেই থাকুক না কেন তারা একই সুরে এ বিষয়ে জবাব দিচ্ছেন। পরিস্থিতি, বিচারহীনতা এবং এক ধরনের গুম-খুনের সংস্কৃতির কারণে এমন একটি পরিবেশ লক্ষ্য করছি এমন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, আমাদের সবসময়ই মনে হয়, আমরা একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি, ভয়ের চাদর আমাদের আবৃত করে রেখেছে। সেখানে আমরা মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক এবং আইনজীবীদেরও দাঁড় করানো সম্ভব হয় না। আমাদের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সেটা সরকার পারেনি। ‘ভয়ানক পরিস্থিতি‘র মধ্য দিয়েই তাদের কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান আসক মহাসচিব মো. নূর খান। এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের জনগোষ্ঠীর স্বপ্ন পূরণে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দশ দফা সুপারিশ তুলে ধরে আসক। আসকের পর্যালোচনা প্রতিবেদন তুলে ধরে এসময় বক্তব্য আসকের পরিচালক নীনা গোস্বামী, নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুর কবির ও সহকারী সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা।