২২ জনের রিটের সঙ্গে হবে ইভ্যালির ৩৯ গ্রাহকের শুনানি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদে পেমেন্ট করে অর্ডার করা পণ্য হাতে না পাওয়া ৩৯ গ্রাহক ইভ্যালিতে আটকে থাকা টাকা ফেরতের (রিফান্ড) নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। ওই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। এ বিষয়ে পরে আরও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে নতুন কোনো তারিখ নির্ধারণ করেননি আদালত। সোমবার (৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান বলেন, আজ ই-ভ্যালির ৩৯ গ্রাহকের করা রিটের বিষয়ে শুনানি হয়েছে। এসময় হাইকোর্ট বলেছেন গতকাল (৭ নভেম্বর) ২২ জন গ্রাহকের করা রিটের বিষয়ে দেওয়া আদেশের সঙ্গে যুক্ত করে এই (৩৯ জনের) রিটটিও শুনানি করা হবে। এছাড়া গতকাল যেহেতু একটি প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আজ আর প্রতিবেদন চাইবেন না আদালত। এর আগে রোববার (৭ নভেম্বর) মানজুর রহমানসহ ৩৯ জন গ্রাহক ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে বিকাশ ও নগদে পেমেন্ট করে অর্ডার করা পণ্য না পেয়ে আটকে থাকা টাকা ফেরতের (রিফান্ড) নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন।
আইনজীবী ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান জানান, রিটকারী ৩৯ জন গ্রাহক গত সেপ্টেম্বরে ইভ্যালিতে দুটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ ও নগদের) মাধ্যমে দুই কোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করে পণ্যের অর্ডার করেন। কিন্তু তারা এখনও পণ্য হাতে পাননি। এমনকি পেমেন্ট করা টাকাও ফেরত পাননি। ইভ্যালিতে অর্ডার করা ৩৯ গ্রাহকের টাকা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গেটওয়েতে আটকা পড়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী, ১০ দিনের মধ্যে পণ্য না দিলে অর্থ ফেরত দিতে হবে। তাই অর্থ ফেরতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়। রিটে বিকাশ ও নগদে আটকে থাকা ইভ্যালিসহ ই-কমার্স গ্রাহকদের অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে অর্থ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপকসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে, ইভ্যালিতে অর্ডার করা এই ২২ গ্রাহকের ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গেটওয়েতে আটকা পড়েছে। তাদের করা রিটের শুনানিতে ই-কমার্স গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরতের প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (৭ নভেম্বর) বিকাশ ও নগদ পেমেন্টে করে অর্ডার দেওয়ার পরও পণ্য না পাওয়া গ্রাহকদের আটকে থাকা অর্থ ফেরতের (রিফান্ড) বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিকাশ ও নগদে আটকে থাকা ইভ্যালিসহ ই-কমার্স গ্রাহকদের অগ্রিম টাকা ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুলজারিসহ এসব আদেশ দেন। এই রিটের বিষয়ে আইনজীবী আশফাকুর রহমান জানান, গত ২৪ অক্টোবর ২২ গ্রাহক এ রিট করেছিলেন। ইভ্যালিতে অর্ডার করা এই ২২ গ্রাহকের দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গেটওয়েতে আটকা পড়েছে। পণ্য কিনতে অগ্রিম দেওয়া এই ২২ গ্রাহকের দুই কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৫ টাকা ফেরানোর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। অর্থ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট আটজন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।