কী ঘটেছিল তেজতুরী বাজারের সেই বাসায়?

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তেজগাঁওয়ে পূর্ব তেজতুরী বাজার বাসার বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। বদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছেন সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (২ অক্টোবর) সকালে তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ৬ তলা ভবনের তৃতীয় তলার যে কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তা তন্নতন্ন করে খোঁজ করি। তবে সেখানে বিস্ফোরকের তেমন কোনো আলামত মেলেনি।’ তাহলে কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। যে কক্ষে দুই শিক্ষার্থী থাকতো সেখানে গ্যাসের চুলা রয়েছে। বদ্ধ ঘরে গ্যাস আবদ্ধ হতে পারে। গ্যাস বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না। অসাবধানতাবশত এ সময় হয়তো সিগারেট কিংবা অন্য কোনো কিছু জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। এমনটি আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। তবে তদন্তের পরই এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যাবে।’ এর আগে শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ‌্যান্ড ট্রান্সক্রাইম ইউনিট (সিটিসিটি) এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সংস্থাটির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মান্নান বলেন, ওই বাসায় বিস্ফোরক জাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোনো কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ আমরা জানাতে পারবো। বিস্ফোরক কিছু হলে সে ক্ষেত্রে বিকট শব্দ হতো। ওই দুই শিক্ষার্থীর আহত। তারা সুস্থ হলে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। গত রাত ৮ টার পরপরই পূর্ব তেজতুরী বাজার সংলগ্ন ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাসার একটি কক্ষে মেস করে দুই শিক্ষার্থী থাকতেন। তারা হলেন মো. জিতু ও মো. ইয়াসিন। দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুজনের শরীরের বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।