চোরাই ১টির অনুসন্ধান করে ১১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ১১

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের ডিবি পুলিশ ৩ জেলায় অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া দুটিসহ ১১টি মোটরসাইকেল এবং প্রায় আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। সেই সাথে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির কুরিয়ার সার্ভিসের রশিদ ও ৩টি চোরদের বিশেষ চাবি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১০ জনকে আটক করা হয়। তারা আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সাইফুল ইসলাম।


প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়েছে, ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন কেশবপুর এলাকার একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এই চোর সিন্ডিকেটের সন্ধান পান। গত বুধবার দুপুরে প্রথমে যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিমান অফিস মোড় থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আক্তার হোসেন, ফারুক গাজী ও সাধুকে আটক করা হয়। এই ৩টি মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি ঝিকরগাছা থেকে চুরি হয়েছিলো। পরে ওই ৩ জনের স্বীকারোক্তিতে সদর উপজেলার সুলতানপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও মাগুরা ও রাজবাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ৭ সদস্যকে আটক এবং ৮টি মোটরসাইকেল,

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল পাঠানোর রশিদ, চুরিকালে মোটরসাইকেলের তালা খোলার তিনটি বিশেষ চাবি (মাস্টার কি) ও ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার মোটরসাইকেলের মধ্যে কেশবপুর থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, চক্রের সদস্যরা মোটরসাইকেল চুরি করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। যশোরের এসএ পরিবহন ও জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল পাচার করা হতো বলে পুলিশের কাছে প্রমাণ আছে। কুরিয়ারের সার্ভিসের যে সকল কর্মচারী এই অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চক্রের সদস্যদের আটকের ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।


আটক চোরচক্রের ১০ জন হচ্ছে- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারকোরপা গ্রামের মতি মোল্লার ছেলে বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মাঠপাড়ার বাসিন্দা নুর ইসলাম (৩০), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বরুমমানিনগর নলদী গ্রামের গোলাম মোস্তফা শেখের ছেলে বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আল আমিন শেখ (২৮), খুলনার ফুলতলা উপজেলার গাড়াখোলা চুনরগেট এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে বর্তমানে যশোর উপশহরস্থ ৭ নম্বর সেক্টরের আব্দুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আক্তার হোসেন (৩৯), সদর উপজেলার জগন্নাথপুর খানপাড়ার আকসেদ গাজীর ছেলে বর্তমানে শহরের বেজপাড়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা ফারুক গাজী (৩৬), সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কবির ওরফে নুর ইসলাম (৪০), মাগুরা সদর উপজেলার পারনান্দুয়ালী মোল্লাপাড়ার মৃত মুন্সি মাহমুদুল হকের ছেলে মজিবুল হক (৩৩), আসলাম মোল্লার ছেলে রশিদুল হক (৩২), এনামুল হকের ছেলে চঞ্চল (৩১), যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাধু (৩২) এবং রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বর্পবেতেঙ্গা গ্রামের মৃত জোমারত মল্লিকের ছেলে সালাম মল্লিক (৩৬)।