তালুকদার খালেকের বক্তব্যের নিন্দা খুলনা বিএনপির : অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগের লোকেরা জড়িত

0

খুলনা ব্যুরো ॥ খুলনার আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ড সম্পর্কে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের দেয়া কাল্পনিক, অসত্য ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। শনিবার প্রদত্ত বিবৃতিতে খুলনার সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ডে পৃষ্ঠপোষক বিএনপি নেতাদের বিচার করতে হবে শিরোনামে ২৬ আগস্ট বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তালুকদার আব্দুল খালেকের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর এ ধরনের বানোয়াট, কাল্পনিক বক্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতেই দেয়া যায়। মরহুম অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ড সম্পর্কে তার পরিবারের দেয়া বক্তব্য ও মামলা চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাক্ষাৎকারে কখনই হত্যাকান্ডে বিএনপির জড়িত থাকার কথা বলা হয়নি। এছাড়া দীর্ঘ দেড় যুগেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কখনই দাবি করেনি বরং তাদের তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা হত্যাকান্ডের পর খুলনা সফরকালে নিহত মঞ্জুরুল ইমামের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গেলে পরিবারের সদস্যদের দেয়া বক্তব্যে নিজ দলের নেতাদের নাম শুনেছেন যা খুলনাবাসীর জানা আছে। সবসময়ই নিহত মঞ্জুরুল ইমামের পরিবারের সদস্যরা হত্যাকারী সম্পর্কে আঙ্গুল তুলেছেন আওয়ামী লীগের দিকে। নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি খুন ও হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি সম্পর্কে সিটি মেয়র মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা আওয়ামী লীগ নিজের অপকর্ম ঢাকতে বিএনপি সম্পর্কে অসত্য ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করছে। তাদের কাজই হচ্ছে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ মুজিব হত্যাকা-ের পৃষ্ঠপোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নন, শেখ মুজিবকে আওয়ামী লীগই হত্যা করেছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য নেতা খন্দকার মোস্তাক রাষ্ট্রপতি হন এবং অন্যান্য নেতাদের নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন। উত্তরাধিকারসূত্রে খুনের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা কারা করে মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ডের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল। তারা হত্যা ও খুনের রাজনীতি বহনকারী দল। সরকারের পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আবোল তাবোল বলতে শুরু করেছে। তালুকদার খালেকের দেয়া বক্তব্যকে অসত্য বিভ্রান্তিকর ও আষাঢ়ের গল্প হিসেবে অবিহিত করে বিএনপি নেতারা বলেন, নীতিহীন অসুস্থ রাজনীতিবিদের পক্ষেই এ ধরনের মিথ্যাচার করা সম্ভব। ভবিষ্যতে এ ধরনের মনগড়া বানোয়াট বয়ানবাজি করা থেকে বিরত থাকার জন্য নেতৃবৃন্দ আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হলেন-খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অ্যাড. বজলুর রহমান, অ্যাড. এস আর ফারুক, স. ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।