চৌগাছায় শিশুদের মোবাইল ফোনে আসক্তি বাড়ছে

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু,চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় মোবাইল ফোনে শিশু-কিশোরদের আসক্তি বেড়েছে। তারা গেমস খেলার পাশাপাশি ফেসবুক ব্যবহার করছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
সোস্যাল মিডিয়ায় মানুষ উপকৃত হচ্ছে ঠিকই। পাশাপাশি এর বিরূপ প্রভাবও পড়ছে শিশুদের ভেতর। সকালে শিশুকে ঘুম থেকে তুলে মোবাইল ফোন হাতে না দিলে সকালের নাস্তা খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে পড়ার টেবিলে বসার আগেই মোবাইল ফোনে সময় দিচ্ছে। আর দিনের বেলা সুযোগ পেলেই বসছে মোবাইল ফোন নিয়ে। এতে করে তাদের ভেতর থেকে মননশীলতা হারিয়ে যাচ্ছে।
রোববার বেলা ১১ টার দিকে চৌগাছা পৌর এলাকার একটি মহল্লায় দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী পিতা- মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির পাশে টয়লেটের প্রবেশ মুখে সিঁড়িতে বসে গেমস খেলছে। টয়লেট একটি নোংরা জায়গা জেনেও ওই শিশুটি শুধুমাত্র পিতা- মায়ের বকুনি খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই জায়গা বেছে নিয়েছে। এ সময় কথা হয় ওই শিশুটির সাথে।
সে জানায়, আজ স্কুলে যেতে ভাল লাগছে না। মা বাড়িতে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত। এই সুযোগে মায়ের মোবাইল নিয়ে আমি গেমস খেলছি। তার সাথে কথা বলার একপর্যায়ে তার মা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মায়ের উপস্থিতিতে শিশুটি ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যায়। বিষয়টি লুকিয়ে সে দ্রুত চলে গেল বাসার ভেতরে।
পৌর এলাকার একজন অভিভাবক সোনালী খাতুন। তিনি বলেন, আমি দুই ছেলে সন্তানের মা। বড় ছেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্র। আর ছোট ছেলে এখনও স্কুলে পা রাখেনি। দুই ছেলেই মোবাইল ফোনের গেমসে আসক্ত। বড় ছেলে যেমন- তেমন ছোট ছেলের হাতে মোবাইল না থাকলে সংসারের কোন কাজই সে করতে দেবে না। অনেক বকাঝকা মারধর করেছি। কিন্তু ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই এখন ঘুম ছাড়া বাকি সময় তার হাতে মোবাইল থাকে।
শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে ছেলে- মেয়েরা ব্যাপকভাবে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এটি কারও জন্যে কাম্য নয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাইমারিতে পড়া শিশুদের হাতে কোনভাবেই মোবাইল ফোন দেওয়া যাবেনা। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রয়োজন হলে অভিভাবক সেটি ভেবে দেখবেন। গেমস খেলার সময়ে অন্য খেলার প্রতি শিশুদের মনোনিবেশ করাতে হবে।