একাদশে শ্রেণিতে ভর্তি হতে গিয়ে প্রথম দিনে যশোরে সার্ভার জটিলতায় ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সার্ভার জটিলতার কারণে একাদশ শ্রেণিতে যশোরে শিক্ষার্থীরা ভর্তি আবেদন করতে পারেনি। সকাল থেকে বিভিন্ন কম্পিউটার সেবার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা চেষ্টা চালিয়েও আবেদন করতে পারেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী রোববার ( ২৬ মে) সকাল ৮টা থেকে আবেদন শুরু হওয়ার কথা । আবেদনের কার্যক্রম চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। ২০২৪ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে অনলাইনে http://www.xiclassadmission.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে তারা আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থীর আবেদনের মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। কেবল শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী রোববার ভর্তি আবেদন কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা সকালে কম্পিউটার সেবার প্রতিষ্ঠানে যায়। বিশেষ করে শহরের সিভিল কোর্ট মোড় থেকে শুরু করে সরকারি এম এম কলেজের সামনের সড়কসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার সেবার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দেখা যায়। সার্ভার জটিলতার কারণে তারা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার সেবার প্রতিষ্ঠানে অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যায়। এসময় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে না পারা কাগজপত্র হাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা যায়।
এদিকে যশোরের বিভিন্ন কম্পিউটার সেবার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কারিগরি দিকটি শুরু থেকে দেখভাল করে। মূলত কারিগরি জটিলতার কারণে আবেদন শুরু হয়নি।
শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে পিতা নুরুল ইসলামের সাথে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন করতে আসে তাসলিমা তাব্বাসুম। সে বলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভর্তি আবেদন করতে পারলাম না তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। শিক্ষা জীবনের দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি হওয়ার জন্য বেশ খোশ মেজাজে এসেছিলাম। কিন্তু সফল ভাবে ভর্তি কার্যক্রম সেরে বাড়ি ফিরতে পারলাম না।
এদিকে অনেকে বাড়িতে বসেও চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মায়িশা ফাহমিদা নামে ভর্তিচ্ছু এক জন জানান, তিনি সকাল ৮টার পর ওয়েবসাইটে ঢুকে ফরম পূরণ করতে গিয়ে জন্ম তারিখ ও লিঙ্গ উল্লেখ করার স্থান পূরণ করতে গিয়ে দেখেন হচ্ছে না। এরপর ৯টার দিকে আবার চেষ্টা করতে গিয়ে আর ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেননি।
এ বিষয়ে গতকাল এই প্রতিবেদক যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুর রহিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ের একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি। মিটিং শেষে আপনাকে ফোন দিচ্ছি, কিন্তু তিনি ফোন দেননি।