মহেশপুরে মুজিববর্ষের ঘরে এখনও জ¦লেনি বিদ্যুতের আলো : ভোগান্তিতে বাসিন্দারা

0

/২
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষিকী উপলক্ষ্যে এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে জমিসহ দুই রুম বিশিষ্ট বসতঘর নির্মাণ করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত এক বছরেও ওই ঘরগুলোতে বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। প্রচ- গরমে অনেক পরিবার তাদের বসতঘর ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিচ্ছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের ভালাইপুর পাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষিকী উপলক্ষ্যে এলাকার অসহায় ৯টি পরিবারের মাঝে দেওয়া বসতঘরগুলোতে গিয়ে ঠিক এমন চিত্র দেখা যায়। অধিকাংশ ঘরে ঝুলছে তালা। অন্যত্র চলে গেছেন সেসব ঘরে বসবাসকারীরা। কয়েকটি পরিবার থাকলেও ফাঁকা মাঠে ঘরগুলো হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় প্রচ- গরমে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে তাদের। অন্যদিকে টিউবয়েল না থাকায় পানি সংকটে আরেক ভোগান্তি।
অসহায় মিলন মিয়া জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে রাতে বাড়ি ফিরি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় ঘর ছেড়ে বাইরে গাছতলাতে থাকতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলেমেয়েরা রাতে ঘরে পড়তে পারে না।
মুজিববর্ষের ঘরে বসবাসকারী রাহেলা বেগম জানান, শেখ হাসিনা আমাদের বসতঘর দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার দেওয়া ঘরে এক বছরেও বিদ্যুতের আলো জ¦লেনি। রয়েছে পানির কষ্টও। বিদ্যুতের আলো না থাকায় আমরা রাতের বেলাতে এখানে বসবাস করতে পারছি না। আমাদের সন্তানরাও বিদ্যুতের আলো না থাকার কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হায়দার নান্টু বলেন, বিদ্যুৎ,পানির ব্যবস্থা না করে কিভাবে অসহায় মানুষগুলোকে ঘরে তুলে দেওয়া হলো।
এখন তাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে বিদ্যুতের ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, মুজিববর্ষের ঘর সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। বিদ্যুৎ বা পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না। মুজিববর্ষের ঘরের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মুজিববর্ষের ঘরে বসবাসকারীরা প্রচ- গরমের মধ্যে খুবই কষ্টে তারা দিন-রাত পার করছেন। আমি কয়েকদিন ধরে মুজিববর্ষের ঘরগুলোতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের উপ মহাব্যবস্থাপককে চিঠি দিয়েছি। তার পরও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি মুজিববর্ষের ঘরগুলোতে বিদ্যুতের আলো জ¦ালাতে।
পল্লী বিদ্যুতের উপ পরিচালক (ডিজিএম)অভিজিৎ সাহা জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে আমাদের চিঠি দেওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তার পরও আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি এখনও বিদ্যুতের সংযোগ কেন দেওয়া হলো না।