কেশবপুরের পৌর মেয়র রফিকুলের দাবি চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ শুধুই ষড়যন্ত্র

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ শুধুই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তার দাবি এ অভিযোগ সঠিক নয়। আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিত নিয়ে গতকাল শনিবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী মরহুমা ইসমাত আরা সাদেকের আমলে কেশবপুরে গড়ে উঠা ‘গামছা’ বাহিনীর লোকজনরাই এখন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তার বাদী খন্দকার মফিদুল ইসলাম ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলো। এখন তারা আমার ভাবমূর্তি-সুনাম নষ্টের জন্য পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, মেসার্স মিশাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক এন্ড এন্টারপ্রাইজ নামক যে ডিশ লাইনটি রয়েছে তার স্বত্ত্বাধিকারী উপজেলার ব্রক্ষকাটি গ্রামের খন্দকার রফিকুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মফিদুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ব্রক্ষকাটি, রামচন্দ্রপুর ও বালিয়াডাঙ্গাসহ কয়েকটি এলাকায় ডিশের ব্যবসা করে আসলেও তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তার ব্যবসার অনুকূলে ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাটের কোনো সনদ পৌরসভার কাছে জমা দেয়নি। এসব বিষয় তার কাছে জানতে চাইলে সে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দীর্ঘ ১২ বছর ব্যবসার পর এখন মামলা করার পর কেনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র রফিকুল ইসলাম কোনো সদুত্তর না দিয়ে বলেন, আমার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনেই খন্দকার মফিদুল ইসলাম এসব মামলা করছে। তিনি বলেন, আমার মামলার বাদী খন্দকার মফিদুল ইসলাম ও তার আরেক সহোদর কেশবপুরের গামছা বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার। তারাই আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করছে। যার বিন্দুমাত্র কোনো সত্যতা নেই বলেও তিনি দাবি করেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন এমপির ঘনিষ্ঠজন হওয়া সত্ত্বেও নিজ দলের লোকজন আপনার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হুমকির অভিযোগ কেনো করছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, কেনো এমনটা হচ্ছে তা বলতে পারবো না। তবে আমি কোনো নেতার প্রভাবে এলাকায় কোনো প্রভাব বিস্তার করিনা। যেকারণে আমাকে এলাকার মানুষ বিপুল ভোটে পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে কেশবপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়রসহ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।