করোনাকালের বাজার নিয়ন্ত্রণ

0

জি. মুনীর
ঈদের আগে এক দফা দাম বাড়ার পর ক্রেতা সাধারণের ধারণা ছিল ঈদের পর হয়তো নিত্যপণ্যের দামে একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। কিন্তু ঈদের পরও থামছে না নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলার প্রবণতা।
কাঁচাবাজারে এভাবে অব্যাহত দাম বেড়ে চলায় বিপদে পড়েছে দেশের গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এসব পরিবারের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চলমান লকডাউনের এই সময়ে যেমনি কমেছে আয়-রোজগার তেমনি বেড়েছে সংসার খরচ। এক তথ্যে জানা যায়, দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ এই নিম্নবিত্ত ও গরিব শ্রেণীতে পড়ে। বাকি ২৩ শতাংশ উচ্চবিত্ত ও অতিমাত্রিক ধনিক শ্রেণীর লোক। এই শ্রেণীর মানুষের ওপর নিত্যপণ্যের এই দাম বাড়ার আঘাত ততটা অনুভূত হয় না, যতটুকু হয় বাকি ৭৭ শতাংশের ওপর। ঈদ-উত্তর সময়ের লকডাউনের কারণে রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ কিচেন মার্কেট বন্ধ থাকে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেও। তবে এরই মধ্যে এগুলো খুলতে শুরু করেছে। ক্রেতা সাধারণের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কিছুসংখ্যক ক্রেতা ঈদের আগেই পরবর্তী সপ্তাহখানেক সময়ের জন্য নিত্যপণ্য কিনে রাখার কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু টাকা-পয়সার অভাবে অনেকে এ কৌশল অবলম্বন করতে পারেনি। এই শ্রেণীর মানুষের জন্য ঈদ-উত্তর বাড়তি পণ্যমূল্য দেখা দিয়েছে এক নতুন বিপদ হিসেবে। ঈদের এক সপ্তাহ পর কাঁচাবাজারগুলো খোলার সাথে দেখা গেছে, অনেক নিত্যপণ্যেই দোকানদাররা ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম আদায় করছে। কারো কারো মতে, লকডাউনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিক্রেতারা ঈদ-উত্তর সময়ে এই দাম বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে।
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিক রাজধানীর অন্যতম কাঁচাবাজার কাওরান বাজার পরিদর্শন করে জানিয়েছে, ঈদের পর সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। তাদের মতে, লকডাউনের কারণে ক্রেতারা বাজারে সেভাবে আসছে না। অনেকে ঈদের আগেই বাজার করে রেখেছেন। লকডাউনের কারণে পণ্যের স্বল্পতা তো আছেই। তা ছাড়া বিক্রি করতে না পারায় অনেক সবজি পচে গেছে। ক্রেতারা মনে করে, এই ক্ষতি পোষাতে এখন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। ঈদের আগে টমেটো কেজিপ্রতি বিক্রি হতো ১০০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। ঈদের আগে যে কাঁচামরিচ বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন রুই-কাতলা ইত্যাদি ধরনের মাছের দাম ঈদের আগের তুলনায় কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। চিংড়ি, টেংরা, খলিশা মাছে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা আরো জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে এখন বাজারে গ্রাম থেকে রাজধানীতে পণ্য আনতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ ট্রাক ভাড়া গোনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে এটিও একটি বড় কারণ।
ব্যবসায়ীরা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে নিত্যপণের দাম বাড়িয়ে চলা সম্পর্কে নানা কারণের কথা বলবে। এর কিছু কারণের পেছনে যৌক্তিকতা কিছুটা থাকলেও, যে হারে সময়ে সময়ে দাম বাড়ানো হয়, তার পেছনে কোনো যুক্তি থাকে না। কিন্তু এর পরেও নানা অজুহাতে পণ্যের দাম যখন-তখন ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে চলেছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য রীতিমতো এক অনুশীলনে পরিণত হয়েছে। এভাবে ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয় সত্য, তবে এর ফলে সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা সাধারণের এই ক্ষতির বোঝা অন্য কারো ঘাড়ে চাপানোর সুযোগ নেই। তাই এর দুর্ভোগের বোঝা তাদেরই বয়ে বেড়াতে হয়; তা যতই কষ্টদায়ক হোক। কিন্তু কারণে-অকারণে বাজারে এই পণ্যমূল্যের দাম বাড়ানো প্রবণতা রোধের পবিত্র দায়িত্বটি কিন্তু সরকারের। এ ক্ষেত্রে আমাদের সরকারগুলোর ব্যর্থতা সীমাহীন। প্রতিটি ঈদের আগে সরকারি মুখপাত্রের একই গান : ‘সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই এবার ঈদের আগে পণ্যমূল্য বড়বে না।’ কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা ঠিকই পণ্যমূল্য প্রতিটি ঈদের আগে ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দেন। মাঝে মধ্যেই সরকারপক্ষ বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে। কিন্তু এর বাস্তবায়ন নেই।
মনে হয়, এবারে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অন্যান্য সময়ের চেয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে থেকে থেকে কার্যকর করা এলোপাতাড়ি লকডাউন মানুষের আয়-রোজগারের পরিমাণ একদম তলানিতে নিয়ে নামিয়েছে। এর বিপরীতে পণ্যের দাম যদি অব্যাহতভাবে বাড়তেই থাকে, তবে গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। এবার শুরু হয়েছে পণ্যে দাম বাড়ানোর নতুন প্রবণতা। ঈদের আগেও বাড়ানো হয়েছে, ঈদের পরও এই দাম বাড়ানোর প্রবণতা থামছে না। ভুললে চলবে না, এই সময়ে করোনা সংক্রমণের এক জটিল পর্যায়ে রয়েছে আমাদের দেশ। প্রতিদিন করোনায় গড়ে আড়াই শ’ প্রাণহানি ঘটছে। প্রতিদিন সংক্রমণের শিকার হচ্ছে ১৫ হাজারের মতো মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বেড খালি নেই। জেলা হাসপাতালগুলোতে এর চিকিৎসা সুবিধা সীমিত। করোনা-সংক্রমিত রোগীদের জন্য আছে অক্সিজেন সরবরাহ ও আইসিইউ ইউনিটের অভাব। আমরা বলতে পারছি না, আসছে দিনে করোনার প্রভাব ধকল কোনো মাত্রায় গিয়ে পৌঁছাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতেই করোনা মোকাবেলায় আমরা হিমশিম খাচ্ছি। জনগণের মাধ্যেও মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। এমনটি চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ আরো চরম আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তখন মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হবে। দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। এখন মনে হচ্ছে- একমাত্র টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারলে হয়তো পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হতে পারে। তবে তা নিয়েও আছে আশঙ্কা। কারণ টিকা নিয়ে আছে আমাদের চরম বিদেশনির্ভরতা। আর টিকা নিয়ে আছে নানা ধরনের বৈশ্বিক রাজনীতি।
কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড সময়ে বিশ্বের আরো অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই ধাক্কা যেমন পড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর, তেমনি পড়ে দারিদ্র্য হারের ওপরও। জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের হার নেমে এসেছিল ২০.৫ শতাংশে। ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশের দারিদ্র্য হার পূর্ববর্তী রাজস্ব বছরের ২০.৫ শতাংশ থেকে এক লাফে গিয়ে পৌঁছে গেছে ২৯.৫ শতাংশে। ওই সময়ে দেশে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে চার কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার মানুষ দরিদ্র বলে বিবেচিত। ২০২০ সালে দেশব্যাপী যখন করোনাকালের লকডাউন-শাটডাউন চলে, তখন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ওই সময় হাজার হাজার নিম্ন আয়ের মানুষকে কারো পক্ষ থেকে খাবার নিয়ে আসার অপেক্ষায় শহরের রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। অনেক চাকরি হারা ও কাজ হারা মানুষকে রাস্তায় বের হতে হয় নানা পণ্যের ভাসমান দোকান নিয়ে। অনেককে বাধ্য হয়ে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সামনে রেখে। কিন্তু ২০২১ সালে এসে আমরা দেখছি করোনা প্রভাব আরো জোরদার হয়ে চলেছে। এর ফলে চলতি বছরেও গরিব মানুষের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। আর এসব মানুষের ওপর নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব আরো দুর্বিষহ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে। তাই বলছিলাম, সরকারের উচিত এবার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া। এমনিতেই এশিয়া অঞ্চলের ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি। নিত্যপণ্যের আমদানি ব্যয় স্থানীয় দামের চেয়ে অনেক নিচে। আমাদের দেশীয় বাজারে চালের দাম বাড়ার প্রবণতা খুবই রহস্যময়। বিগত কয়েক মওসুমে ধানের ভালো উৎপাদন হওয়া সত্তে¡ও চালের বাজারে চলেছে অস্থিরতা। এমনকি কমিয়ে দেয়া শুল্ক হারে চাল আমদানি করেও চালের দামের অস্থিরতা কমানো যায়নি। কেন এমনটি হয়, বাজার বিশ্লেষকেরাও তা জানেন না।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভোজ্যতেলের দামও অবিশ্বস্য মাত্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেখা গেছে। গত ছয় মাসে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আন্তর্জাতিক বাজার দামের ওপর ভূমিকা রয়েছে। মাছ, সবজি, খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও ওই সময়ে বেড়েছে একইভাবে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদপত্রে নিয়মিত শিরোনাম হয়ে আসছে। জনগণকে শত দুর্ভোগের মাঝে তা মেনে নিয়েই সংসার চালাতে হচ্ছে। কারণ তাদের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। তবে এখানে সরকারের নির্বিকার ভূমিকা পালনটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রবল সমালোচনার মুখে যদিও কখনো কখনো রাস্তায় নামে টিসিবির পেঁয়াজ-রসুন-ডাল-তেল বিক্রির ট্রাক। কোভিড সময়টা ভিন্ন ধরনের। এক দিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাজ নেই, অপর দিকে সংসার চালানোর খরচ অভাবনীয় মাত্রায় বেড়ে চলছে। এই মহামারী ব্যাপকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে দেশের বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস। অনেকের সামান্য সঞ্চয় যা ছিল, তা এরই মধ্যে নিঃশেষ হয়ে গেছে কিংবা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পথে। এই শ্রেণীর মানুষই এখন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ শিকার। তাদের কথা ভেবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় লাগাম টেনে ধরা জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকার ও সমাজের বিত্তশালীরা তাদের নিয়ে ভাবছে, বাস্তবে এমনটিও মনে হয় না। ভাবলে কঠোরহস্তে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পেতাম। সরকার তাদের জন্য যে অর্থসহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করছে, তা-ও লক্ষিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারছে না। কারা যেন মাঝপথে সব খেয়ে সাবাড় করে ফেলে। পত্রপত্রিকায় এসব খবর আমরা দেখি। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। সরকারের এই সামাজিক কর্মসূচির রয়েছে অন্তর্নিহিত দুর্বলতা। এ দুর্বলতা সত্তে¡ও এই কর্মসূচি কিছুটা হলেও গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে যেসব অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তা কমিয়ে আনা জরুরি। তবে শহুরে মানুষ এ কর্মসূচিতে উপেক্ষিত হচ্ছে, বিশেষত এখানে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায়।
সরকারের উচিত বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া। সরকারকেই উপায় উদ্ভাবন করতে হবে, কী করে পণ্যের দাম একটা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা যায়। সাথে সাথে সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে গরিব মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির। এ দিকে কিছু দিন আগে রাজধানীতে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা একটি স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠনের দাবি তুলেছেন। তাদের দাবি মতে, এই কমিশন পণ্যের দাম ও মজুরির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের দায়িত্ব পালন করবে। এই ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন- যখন নিত্যপণ্যের দাম মজুরির তুলনায় বেশি মাত্রায় বাড়ে তখন দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ নিম্নমানের পণ্য কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে মানুষ পুষ্টিহীনতা ও নানা ধরনের রোগ-শোকের শিকারে পরিণত হয়। আর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর। তা ছাড়া মজুরির তুলনায় পণ্যের দাম বেশি হারে বাড়লে এসব মানুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ে। তাই সরকারকে প্রস্তাবিত স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠনের বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। সরকারকে আরেকটি বিষয় সচেতনভাবে মনে রাখতে হবে, মানুষের আয়-বৈষম্য দূর করা ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ তার পক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না। মনে রাখতে হবে, অভ্যন্তরীণ বাজার চালিত হয় দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট