যশোরে নিবন্ধন করার পরও ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ টিকা নিতে পারেননি

0

বিএম আসাদ ॥ করোনার ছোবল থেকে রক্ষায় যশোর জেলায় ৬ মাসে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ ৮৬ জন টিকা নেয়ার জন্যে নিবন্ধন করেছেন। এর ভেতর ১ লাখ ৬১ হাজার ৩শ ১৫ জন প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ ৭১ জন এখনো টিকা পায়নি। নিবন্ধন করার পর প্রথম মেসেজ আসলেও দ্বিতীয় ডোজের মেসেজ না আসায় অপেক্ষায় প্রথম গুনছেন তারা।
সূত্র জানিয়েছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশের ন্যায় যশোরে মহামারী করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য ৩৫ ঊর্ধ্ব মানুষের করোনা টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত যশোর জেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ ৮৬ জন টিকা নেয়ার জন্যে নিবন্ধন করেছেন। তালিকাভুক্ত করা ওইসব লোকজনের ভেতর ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ ৭১জন এখনো টিকা পায়নি। তারা টিকা নেয়ার অপেক্ষায় দিন গুণছেন কবে প্রথম ডোজ নিতে পারবেন? তবে নিবন্ধনকৃতদের ভেতর ১ লাখ ৬১ হাজার ৩শ ১৫ জন টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। যারা প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ৮৪ হাজার ১শ ২৭ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পেরেছেন। ৭৭ হাজার ১১শ ৮৮ জন এখনো দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাননি। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়ার জন্যে তারা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মোবাইল ফোনে কবে মেসেজ পাবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মিডিয়াবিষয়ক কর্মকর্তা, এমওসিএস ডা. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, তাদের টিকা দেয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। ১৮ বছর ঊর্ধ্ব বয়সীদের লোকজনকে গণহারে টিকা দেয়া হবে। টিকার অভাব হবে না উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা চীনের তৈরি ৯৮ হাজার ৪শ ডোজ টিকা পেয়েছেন। গত ১৯ জুন থেকে এ টিকা দেয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৩শ ৪৫ জনকে চীনের তৈরি টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৩শ ৭৩ জনকে। এর আগে অক্সফোর্ডের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনিকার ১ লাখ ২০ হাজার ডোক টিকা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পায়। ওই টিকা দেয়ার কাজ শেষ হলেও অনেকে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া থেকে এখনো বঞ্চিত। আবার একই কোম্পানির টিকা এলে বঞ্চিতদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডা. রেহেনেওয়াজ। টিকার প্রথম ডোজ নিলেও অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না টিকার মেসেজ না আসার কারণে। প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ পত্রিকা অফিসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাচ্ছেন, তারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ মাস থেকে ২ মাস আগে। কিন্তু দ্বিতীয়বার টিকা দেয়ার মেসেজ না আসায় তারা দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছেন না। আবার দ্বিতীয় ডোজের মেসের মোবাইল ফোনে না দেখলে টিকা কেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে টিকা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।