অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদার পাশাপাশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ইউরোপের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বেড়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। খবর রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বিশ্ববাজারে কমতে থাকে। তবে পরিস্থিতির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এতে বাড়ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তবে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ পরিস্থিতিতে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য গতকাল ২১ সেন্ট অথবা দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলার ৬১ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮ সেন্ট বেড়ে যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অনুসারে, ক্রুডের দাম ২৯ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলার ৭২ সেন্টসে পৌঁছেছে। এর আগে এটির দামও বৃহস্পতিবার ৮ সেন্ট বৃদ্ধি পায়।
মার্কিন পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ভালেরো জানায়, গ্যাসোলিন ও ডিজেলের চাহিদা যথাক্রমে ৯৩ শতাংশে ও ১০০ শতাংশে ফিরে আসেছে। মহামারী পরিস্থিতির আগে জ্বালানি পণ্য দুটির চাহিদা এ অবস্থানে ছিল।
ভালেরোর প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গ্যারি সাইমনস বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ভালো করেই জানত গ্যাসোলিন তার চাহিদার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।ইউরোপে করোনা ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিও তার এ মনোভাবকে সমর্থন করে।
ফ্রান্স জানায়, দেশটিতে সোমবারের মধ্যেই স্কুল খুলে দেয়া হবে। দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের তাদের বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এপ্রিলে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা আগামী মার্চে শেষ হবে। ইউরোপের অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এ অঞ্চলেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার তার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।