অভয়নগরে সবজির বাজারে আগুন দিনমজুরদের মাঝে হতাশা

0

স্টাফ রিপোর্টার,অভয়নগর (যশোর) ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় লকডাউন ঘোষণা করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।এমন পরিস্থিতিতে জীবন-জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সবাই। অন্যদিকে ভোগাচ্ছে বাজার দরও। আগের থেকে বাজারের সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। এর মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে
সবজির দামও । বাজারে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছেন স্বল্প আয়ের মানুষসহ খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। সাধারণ ভোক্তারা বলছেন,বাজারে যেভাবে চাল,ডাল, তেল,চিনি,মাছ,মাংসসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে । অন্য পণ্যের দাম বাড়লেও দীর্ঘসময় ধরে সবজি বাজারে স্বস্তিতে ছিলেন ভোক্তারা। লকডাউন পরিস্থিতিতে এখন সেই সবজির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। নওয়াপাড়া বাজারের দিন মজুর কাশেম হাওলাদার বলেন,বয়স বেড়েছে ,বেশি বোঝা টানতে পারি না। ভোরবেলা অল্প কিছু বস্তা টেনে সামান্য কিছু আয় হয়। তা দিয়ে মাছ,মাংস কেনার সাধ্য নেই। সবজি কিনেই সংসার চলে। দাম কম থাকায় মাঝে একটু নিশ্চিন্ত ছিলাম, এখন সবজি-শাকপাতার দামও হু হু করে বাড়ছে । দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। সবজির দাম বাড়ায় বিপদে রয়েছেন আরেক দিনমজুর সাহেব আলী। তিনিবলেন আগে ফার্নিচারের দোকানে জিনিসপত্র টানার কাজ করতাম। এখনবেচাকেনা না থাকায় সে কাজও বন্ধ। এখন সকালে বাজারে টুকিটাকি দিনমজুরের কাজ করে সবজি কিনে বাড়ি ফিরি । কিন্তু সেটার দামও দিন দিনবাড়ছে। সবজিটাও যদি কিনে না খেতে পারি তাহলে বেঁচে থাকব কিভাবে ?নওয়াপাড়া বাজার,পায়রা বাজার,সুন্দলী বাজার ,প্রেমবাগ বাজার,নাউলী বাজারসহবেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে । এরমধ্যেবেগুন,পটল,বরবটি,ঢেঁড়স,শিম অন্যতম । গত সপ্তাহে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়বিক্রি হওয়া পটলের কেজি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ঢেঁড়সেরকেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা;গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা । বরবটির কেজি৫৫ থেকে ৬০ টাকা;গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা । বেগুনের কেজি ৬৫ থেকে৭০ টাকা;গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা । শিমের কেজি ৫৫ থেকে ৬০টাকা;গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা । একই দামে ধুন্দল ও চিচিঙ্গা বিক্রিহচ্ছে । পাকা টমেটোর কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা । তবে চলতি সপ্তাহে শসার দামঅপরিবর্তিত রয়েছে । বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে । তাছাড়ালাউয়ের দাম বেড়েছে অনেক । প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় সাধারণ দিন মজুরের ক্রয় ক্ষমতা আরহাতের নাগালে থাকবে না । খেটে খাওয়া মানুষের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষনিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তাহলে সবজির বাজারসহ অন্যান্য পণ্য ক্রয়ক্ষমতার
নাগালে থাকবে ।
এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, রমজান এলে এবং করোনার দোহাই দেখিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে । মাঝেমধ্যে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, অভিযোগ পেলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।