যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল : আইসিইউ চালুর আগেই তিনটি ভেন্টিলেটর নষ্ট

0

বিএম আসাদ ॥ আইসিইউ’র জন্যে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দেয়া ৮টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩টি চালু করার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। ৮ মাস আগে ভেন্টিলেটরগুলো হাসপাতালে দেয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ বলছেন, নষ্ট ভেন্টিলেটরগুলো শীঘ্রই মেরামত হবে এবং দ্রুত আইসিইউ ইউনিট চালু করা হবে।
সূত্র জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার ভেতর সর্বাধিক যোগাযোগ সুবিধা রয়েছে যশোরে। অন্য জেলায় হাসপাতাল থাকলেও বাইরের জেলা থেকে রোগী এসে চিকিৎসা সেবা নেন এ জেলায়। সে জন্য লোকজন যশোরকে চিকিৎসার নগরী হিসেবে অভিহিত করেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যবস্ততম যশোর মুমূর্ষু রোগীদের জন্যে সরকারি পর্যায়ে নেই কোন আইসিইউ সুবিধা। রোগী যখন মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে তখন আইসিইউ বেডে রাখা হয়। এটি চালু করার জন্যে প্রয়োজন ভেন্টিলেটর মেশিনের। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউ না থাকার কারণে চিকিৎসকগণ উন্নত চিকিৎসার নামে রোগীকে খুলনা অথবা ঢাকায় রেফার্ড করেন।
এ পরিস্থিতিতে সাবেক তত্ত্ববধায়ক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২০১৯ সালে আইসিইউ ইউনিট চালু করার উদ্যোগ নেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ করা হয় ১১টি ভেন্টিলেটর। কিন্তু স্থান না হওয়ার কারণে ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ তৎক্ষনাৎ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটি চালু করতে পারেননি। এ ভেতর তিনি চাকরি থেকে অসবরে চলে যান। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডাঃ দিলীপ কুমার রায়। তিনি গত বছরের (২০২০ সালে) জুলাই মাসে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দেয়া হয় ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে আইসিইউ ওয়ার্ডও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে দেয়া ৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন ছিল পুরনো। ইতিমধ্যে পুরনো ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩টি নষ্ট হয়ে অকেজো হয়ে পড়েছে। ৩টি ভেন্টিলেটর চিকিৎসা দেয়ার জন্যে প্রস্তুত করা হলেও এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়নি। সূত্র জানিয়েছেন, পুরনো ৬টি ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি আরো ২টি নতুন ভেন্টিলেটর সম্প্রতি দেয়া হয়েছে। যা এখনো ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়নি। নতুন ২টি ভেন্টিলেটর স্থাপন করার অপেক্ষায় রয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে মোট ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ৮টি। ৫টি সচল ও ৩টি নষ্ট। ইতিমধ্যে ৮ মাস পার হয়েছে। অথচ চালু করা হয়নি। এদিকে, আগামী ২ মাসের মধ্যে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায় চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। অবসরে যাওয়ার আগে আইসিইউ ওয়ার্ড চালু করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। গত ৪ মার্চ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে উপস্থিতিতে বিষয়টি আলোচনা এবং আইসিইউ চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, ৩টি ভেন্টিলেটর নষ্ট। যে কোম্পানী এগুলো সরবরাহ করেছে, সেই কোম্পানির কারিগররা নষ্ট পার্টস খুলে নিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা এসে ৩টি ভেন্টিলেটর মেরামত করে সচল করে দেবেন।