চৌগাছার চাকরিচ্যুৎ পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার জামতলার বাসিন্দা চাকরিচ্যুৎ পুলিশ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের বিরুদ্ধে এক কোটি প্রায় ৩৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এ ঘটনায় সস্ত্রীক ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। দুর্নীতি দমন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩)সহ দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। দুদক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, তিনদিন আগে চাকরিচ্যুৎ পুলিশের এএসআই জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের বিরুদ্ধে তারা মামলা করেন। তবে এর আগে দুদক তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। এতে দেখা যায়, জসিম উদ্দিন ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। এরপর ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি এএসআই হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু কর্মরত অবস্থায় তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। ফলে ২০১৮ সালের ১৮ মে তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুৎ করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় বিষয়টি তদন্তে মাঠে নামে দুদক। এ সময় দেখা যায়, জসিম উদ্দিনের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১০ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৩ টাকার। তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ৪১০ টাকা। অর্থাৎ দুজনের এক কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি পাওয়া যায়। সূত্র জানায়, জসিম উদ্দিন অবৈধ অর্থ দ্বারা একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। এই ভবনের নিচতলায় ‘মাই ওয়ান ইলেক্ট্রনিক্স লি.’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে মাসিক ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে তিনি ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট ভাড়া দেন। এ থেকে তার বৈধ আয় হয়েছে ৬ লাখ টাকা। কিন্তু দোকান ভাড়ার টাকা ছাড়া তার আর কোন বৈধ আয়ের দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে বৈধ ৬ লাখ টাকা বাদ দিলে জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের পরিমাণ এক কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকা। যা তদন্তে পাওয়া যায়। এরপর তাদের দুজনকে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য পৃথক নোটিস জারি করা হয়। কিন্তু তারা নোটিস গ্রহণ করলেও তাদের সম্পদের হিসাব দুদকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল করেননি। ফলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।