পণ্যের মজুদ সত্ত্বেও দাম কমছে না

0

ভোজ্যতেলের দাম অনেক দিন থেকেই ঊর্ধ্বমুখী, দাম কমার কোনো লণও দেখছেন না বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ২০২০ সালে চিনি আমদানি চার লাখ টন বাড়লেও দাম কমেনি, বরং বেড়েছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে চালের দাম বাড়ায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ১৪ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে এসব চাল এলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান। ব্যবসায়ীরা এবারও রমজানের আগাম পণ্য আনতে শুরু করেছেন। কভিডের কারণে গত বছর রমজানের অবিক্রীত বিপুল ভোগ্য পণ্য রয়েই গেছে বলে খবরে প্রকাশ। সাম্প্রতিক সময়ে পণ্য আমদানিও স্বাভাবিক আছে। রমজান ঘিরে এরই মধ্যে ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি আমদানি হলেও শেষ পর্যন্ত এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীদের কাছে তার যুক্তি থাকে। যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে ডাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় দেশের বাজারেও তা সমন্বয় করা হয়, এমন বক্তব্য পাওয়া যায় তাদের কাছ থেকে। তবে বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা মহামারির সুযোগ নিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। সরকারের তদারকিও কার্যকর ছিল না।
নিয়ন্ত্রণহীন বাজার নিয়ে অভিযোগ কম নয়, বিশেষ করে এ বাজারে ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগী আর অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কথা বারবার উঠে এলেও সরকারি কোনো হস্তপেই যেন কাজে আসে না বলে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা। ভোগ্য পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজার দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা তাঁদের। সরকারকে শুল্ক কমিয়ে ও ভর্তুকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া বাজার মনিটরিং এবং টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেও মনে করেন তাঁরা। অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়াতে গত এক বছরে নতুন ৪৮১ জন ডিলার নিয়োগ দিয়েছে টিসিবি। কিন্তু টিসিবির কি কার্যকরভাবে কাজ করার সমতা আছে? বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি হলেও বাজার মুক্ত নয়। সরকার বাজারে হস্তপে করলেও তা কার্যকর নয়। আবার সরকারের হস্তপে করার ব্যবস্থাও দুর্বল। সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।