ওয়ানডেতে ব্যর্থ হলেও টি-টোয়েন্টিতে পারল পাকিস্তান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ স্বাভাবিকভাবেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল পাকিস্তান। সে মোতাবেক দুই সিরিজই জিতেছে তারা। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে চমক দেখিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথমে মূল ম্যাচ টাই, পরে সুপার ওভার জিতে সিরিজ শেষ করেছিল ১-২ ব্যবধানে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আর সেই সুযোগ পেল না জিম্বাবুইয়ানরা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ উপহার দিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচের মতো শেষটিতেও রীতিমতো জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ম্যাচ ও সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন কিংবদন্তি আব্দুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদির। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল ছিল না পাকিস্তানের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ বল খেলে মাত্র ৩৯ রান করেন ফাখর জামান ও অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক। ইনিংসের সপ্তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ফাখর, ২৪ বল খেলে মাত্র ২১ রান করতে সক্ষম হন তিনি, হাঁকান ১টি করে চার ও ছক্কা।
বেশিদূর যেতে পারেননি তিন নম্বরে নামা হায়দার আলি। দলীয় ৭৯ রানের সময় তিনি আউট হন ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ২৪ বলে ২৭ রান করে। তখনও জয়ের জন্য ৫০ বলে ৫১ রান করতে হতো পাকিস্তানকে। যা নিতে খুব একটা সময় নেননি চার নম্বরে নামা খুশদিল শাহ। মাত্র ১৫ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। অন্যদিকে অভিষিক্ত ওপেনার শফিক অপরাজিত থাকে ৩৩ বলে ৪১ রান করে। দুজনের মাত্র ২২ বলে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৫.২ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। পায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৪তম টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উসমান কাদিরের ঘূর্ণিতে কাবু হয় জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক চামু চিবাবা ৩১ ও আট নম্বরে নামা ডোনাল্ড তিরিপানো ২৮ রান করলে কোনোমতে দলীয় সংগ্রহটা ১০০ পার হয় সফরকারীদের। এছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন কেবল মিল্টন শুমা (১১) ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (১১)। পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন চলতি সিরিজেই অভিষেক হওয়া উসমান কাদির। সিরিজে তারা মোট শিকার ৮টি উইকেট। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম নিয়েছেন ২টি উইকেট। নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এল্টন চিগুম্বুরা ৬ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি।