রূপগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলা, মান্না-তৈমূর লাঞ্ছিত, আহত ৩০

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। এসময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, এড. তৈমূর আলম খন্দকার, তার কন্যা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকারকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাদের হামলায় অন্তত ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে রূপগঞ্জের রূপসী খন্দকার বাড়িতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা রাম দা, তলোয়ার ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অনুষ্ঠানের ওই মঞ্চে থাকা চেয়ার টেবিল ও সাউন্ড সিস্টেম ভাঙচুর করে। মঞ্চ থেকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেয় তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকার, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর মান্নাকে। তৈমূর আলম খন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী আলাল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি কামনা, তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে রূপসী খন্দকার বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টার মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়ামসহ অনেকেই। ওই সময়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। উপস্থিত লোকজনদের একের পর এক মারধর করতে থাকে। মঞ্চ থেকে নেতাদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীরা সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আকস্মিক এ হামলায় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। তৈমূর আলম খন্দকার জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। এছাড়া পিটিয়ে আহত করা হয় তার অন্তত ২৮/৩০ জন কর্মীকে। রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদার বলেন, ‘আমরা কোন হামলা করিনি। ওই এলাকার ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের যারা আছে তারা তাদের জিজ্ঞাসা করতে সেখানে যায়। যে কি অনুষ্ঠান চলছে। তখনও তাদের অনুষ্ঠান চলছিল। পরবর্তীতে তারা অনুষ্ঠান বাতিল করে। হামলার অভিযোগ মিথ্যা। রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত তাদের কাছে হামলার কোন খবর আসেনি। তবে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।