নেইমার-এমবাপ্পে নেই, পিএসজিও পারেনি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মূল দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই মাঠের অনুশীলনের বদলে আইসোলেশনে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের থাবায় আসলে একাদশ সাজাতেই ভীষণ কষ্ট হয়েছে টমাস টুখেলের। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে লড়াই করে গেলেও হার ঠেকাতে পারেনি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। লিগ ওয়ানের নতুন মৌসুমটা তাদের শুরু হয়েছে হার দিয়ে। নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পেবিহীন পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে লঁসে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পর অবকাশ যাপনে স্পেনের ইবিজায় গিয়েছিলেন পিএসজির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। সেখান থেকেই করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত মূল দলের ৭ খেলোয়াড়। যাদের মধ্যে রয়েছেন নেইমার, এমবাপ্পে, আনহেল দি মারিয়া, কেইলর নাভাস ও মাউরো ইকার্দি। এত খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আসলেইে একাদশ সাজানো কঠিন। এরপরও প্রথম বিভাগে উঠে আসা লঁসের ঘরের মাঠে জয়ের স্বপ্নেই নেমেছিল লিগ চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে খেলার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখলেও গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। বিরতির আগে পিএসজির বল পজেশন ছিল ৭৮ শতাংশ।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে শুরুতে কিছুটা কোণঠাসা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি লঁসের। ৫৭ মিনিটে তাদের জয়সূচক গোলটি করেন ইগনাতিয়াস গানাগো। এ নিয়ে পিএসজির বিপক্ষে তৃতীয় গোল পেলেন এই ফরোয়ার্ড। হারের সঙ্গে একটা দুর্লভ রেকর্ডও হাতছাড়া হয়ে গেলো পিএসজির। টানা ৩২ ম্যাচ প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করা দলটি প্রথমবার জাল খুঁজে পায়নি। এতে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা গোল করার রেকর্ডটা তাদের সেদাঁর সঙ্গে ভাগাভাগি করেই শেষ করতে হলো। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ক্লাবটি টানা ৩২ অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করেছিল। লঁসের বিপক্ষে গোল করতে পারলেই এককভাবে রেকর্ডটা নিজেদের করে নিতে পারতো পিএসজি। এছাড়া্ ২০০৯ সালের পর প্রথমবার লঁসের কাছে হারলো ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। আর ২০১১ সালের পর প্রথমবার লিগ ওয়ান মৌসুম শুরু করলো তারা হার দিয়ে।