‘বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেই ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সংকটকে সম্ভাবনায় রুপ পাওয়ার আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জীবন-জীবিকার মাঝে সামঞ্জস‌্য বিধানের যে প্রয়াস চলছে, তার থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন থাকতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’
‘তার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব ইতিপূর্বে আমরা অনেক সংকট থেকে উত্তরণ লাভ করেছি। ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে তার দক্ষতার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আপনারা মনোবল না হারিয়ে তার প্রতি আস্থা রাখুন, সরকারকে সহযোগিতা করুন। সংকটকে সম্ভাবনায় রুপদানে আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।” করোনাভাইরাসের সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলার কৌশল আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। ‘এখন আমাদের উচিৎ ধর্মবর্ণ পেশা বেধে অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা। করোনা আমাদের কারও বন্ধু নয় কাজেই এই সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলার কৌশল হবে আত্মঘাতী।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতিতেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করেছে, কোথাও কোথাও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করেছে। ভারত ক্ষতিগ্রস্ত দশটি দেশের তালিকায় থেকেও অর্থনীতির স্বার্থে লকডাউন শিথিল করেছে।’ ‘জীবন ও জীবিকার মাঝে ভারসাম্য তৈরি অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখা, সামাজিক শৃঙ্খলা সুরক্ষার স্বার্থে সরকার ইতিমধ্যে সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখানে অবশ্য পালনীয় কিছু তথ্য থাকছে, যেমন স্বাস্থবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমি দেশবাসীকে বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি খাতসহ সবাইকে শর্তাবলী কঠোরভাবে প্রতিপালনের অনুরোধ জানাচ্ছি, নিজেদের স্বার্থে।’