যশোরে ত্রাণের দাবিতে সড়কে নামলেন হাজারো কর্মহীন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের চাঁচড়া ইউনিয়নে করোনার প্রভাবে উপার্জনহীন মানুষ সরকারি ত্রাণ না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে তারা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তাদের অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে দ্রুত ত্রাণ সহায়তদার দাবি জানান। খবর পেয়ে যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান তালিকা করে খাদ্য সহায়তা বাড়ি পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাবু নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে আমরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান নিয়েছি। কোনো কাজ করতে পারছি না। এদিকে আমাদের ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কোনো খোঁজ রাখছেন না। তাই আমরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’ পুলেরহাট এলাকার খাইরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে চাঁচড়া ইউনিয়ন থেকে এই এলাকায় কিছু মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো খবর নেই। শুনেছি তারা পরিচিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছেন। সরকারের ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করছেন জনপ্রতিনিধিরা। তাহলে আমরা গরিব মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়ব?
এ ব্যাপারে চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বিশ্বাস বলেন, আমরা সরকারিভাবে যে ত্রাণ পাচ্ছি পর্যায়ক্রমে সবার মধ্যে বিতরণ করছি। বিক্ষোভকারীরা সবাই একসঙ্গে ত্রাণ চায়, যা সম্ভব নয়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেয়া হয়েছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ সাহায্য দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এখন পর্যন্ত ৪শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এখানে একশ্রেণির লোকের ইন্ধনে কিছু লোক বিক্ষোভ করেছে। বরাদ্দ কম থাকায় এই মুহূর্তে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চালার খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইকিং করে সকলকে ঘরে ফিরে যেতে অনুরোধ করি। এরপরও বিক্ষোভকারীরা পিছু না হটলে তালিকা করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিলে সকলেই সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে যান। তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বঞ্চিত সবাইকে সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে এবং ত্রাণ নিয়ে কেউ কোনো অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।