করোনা: দ. কোরিয়ায় সুস্থ হওয়ার পর ফের আক্রান্ত ৫১ জন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫১ জন ব্যক্তি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভাইরাসটির মানুষের কোষের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে সক্ষম ও পরবর্তীতে ফের সক্রিয় হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় দফায় আক্রান্তদের সকলেই দায়েগু শহরের বাসিন্দা। এ খবর দিয়েছে দ্য ডেইলি মেইল।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) জানিয়েছে, সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা দ্বিতীয় দফায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম। ধারণা করা হচ্ছে, ভাইরাসটি পুনরার সক্রিয় হতে সক্ষম। সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটি মানব কোষের এমন পর্যায়ে লুকিয়ে থাকতে পারে, যে পর্যায়ে এটি শনাক্ত করা যায় না। তারা জানিয়েছে, অজানা কারণে ভাইরাসটির কণাগুলো ফের সক্রিয় হতে পারে ও ফের ফুসফুসে আক্রমণ করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর এমণ আচরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বরং, বানরের মধ্যে পরীক্ষা করে বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, সুস্থ হওয়ার পর আক্রান্তের দেহে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে একধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো রোগী যখন দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফল ভুল হওয়ার ভূমিকা থাকতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়ার সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক পল হান্টার বলেন, আমি একমত যে, এগুলো দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঘটনা নয়। তবে আমার মনে হয় না, এগুলো ভাইরাসটি ফের সক্রিয় হওয়ার কারণে হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, তাদের সুস্থ হওয়ার পরীক্ষাটিই ভুল ছিল। তিনি জানান, সাধারণত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ফলাফল ভুল আসে। তার বিশ্বাস, দক্ষিণ কোরিয়ার ওইসব রোগীরা আদতে কখনো সুস্থই হননি। তাদের সুস্থ হওয়ার পরীক্ষার ফলাফল ভুল ছিল। তারা তখনো আক্রান্তই ছিলেন।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়া অত্যন্ত সফল দেশ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। সোমবার দেশটিতে ৫০ জনেরও কম মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এদিকে, দ্বিতীয়বার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিরল হলেও নতুন নয়। এর আগে জাপানের এক বৃদ্ধ পুরুষ ও এক নারী দ্বিতীয় দফায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে এখনো এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় আক্রান্তের খবর খুবই উদ্বেগজনক, তবে এখনি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না।