ফেরি ঘাটে অসহায় পোশাক শ্রমিকদের ঢল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারা দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ছুটি। বাধ্য হয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে কর্মস্থলে। শনিবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঢল নামে তাদের। করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই তাদের ছুটতে হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি ছুটি বাড়িয়ে ৪ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত করা হলেও গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার শ্রমিকদের ছুটি বাড়েনি। এ জন্য ৫ তারিখ রবিবার কর্মস্থলে যোগ দিতে দণিাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ করোনা আতঙ্ক নিয়েই কর্মস্থলে ছুটছেন। তা ছাড়া নিম্ন আয়ের এ সব মানুষের বাড়িতে বসে চলারও উপায় নেই।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রণি জানান, সরকারি আদেশে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। নৌপথে শুধু পণ্য পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চালু রাখা হয়েছে। যানবাহন কমে যাওয়ায় এ নৌরুটের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১১টি বসিয়ে রেখে আমরা মাত্র ৫টি ফেরি চালু রেখেছি। কিন্তু শনিবার দুপুর থেকে মানুষের চাপে আমরা ঠিকমতো পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করতে পারছি না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এরা সবাই বিভিন্ন পোশাক ও অন্যান্য কারখানা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। করোনা ঝুঁকি থাকলেও ফেরিতে এদের এভাবে পারাপার ঠেকান আসলে সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। পোশাক শ্রমিকরা জানান, তাদের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় কর্মস্থলে না ফিরে উপায় নেই। বাধ্য হয়ে তারা মাহেন্দ্র, ভ্যান অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঘাট পর্যন্ত এসেছেন। ফেরি পার হয়ে কীভাবে কর্মস্থলে পৌঁছাবেন তা তাদের জানা নেই। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাজার হাজার শ্রমিককে ফেরি পারাপারের জন্য অপো করতে দেখা গেছে।