শেবাগ-ওয়ার্নার হতে পারবেন না পূজারা

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ রাহুল দ্রাবিড় পরবর্তী যুগে টেস্টে ভারতের তিন নম্বর পজিশনের সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা। লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকেই বিবেচনা করা হয়। যদিও মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে অনেকবার। শেষবার তার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবারের রঞ্জি ফাইনালে। অবশ্য তাতে থোরাই কেয়ার পূজারার। তিনি খুব ভালো করেই জানেন তার পক্ষে বীরেন্দর শেবাগ কিংবা ডেভিড ওয়ার্নার হওয়ার সম্ভব নয়।
ভারতের বর্তমান টেস্ট দলে সবচেয়ে ধারাবাহিক তিনি। এরপরও বারবার সমালোচনার শিকার হওয়ায় কিছুটা বিরক্ত পূজারা। রঞ্জির ফাইনালে বাংলার বিপক্ষে সৌরাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান ৬৬ রান করলেও খেলে ফেলেন ২৩৭ বল। অমনি তার ব্যাটিং নিয়ে ওঠে যায় প্রশ্ন। নিন্দুকেরা যাই বলুক, সেটা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না তিনি। টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচের যেহেতু কোনও সমস্যা নেই, তাই তিনিও বিষয়টি নিয়ে নির্ভার। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ভারতীয় ক্রিকেটেরও প্রায় সব খেলা বন্ধ। যে কারণে পরিবারকে বেশি সময় দিতে পারছেন পূজারা। তারই এক ফাঁকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না (দলের ভেতরে) এটা নিয়ে খুব একটা কথা হয়। মিডিয়ায় যেটা বলা হয়, সেটা ভিন্ন বিষয়, তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সবসময় আমার সঙ্গেই আছে। অধিনায়ক, কোচ কিংবা অন্য কারও কাছ থেকে কোনও চাপ আসে না।’ কিন্তু রঞ্জি ট্রফির পর যে আবারও মন্থর ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে? ৭৭ টেস্টে ৪৮.৬৬ গড়ে রান তোলা ডানহাতি ব্যাটসম্যান বললেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠলো ‘কেন আমি এত স্কোর করতে এত বেশি বল খেললাম?’ এটাকে কি আমি গুরুত্ব দিচ্ছি? মোটেও না। আমার কাজ হলো সবসময় দলের জয় নিশ্চিত করা।” নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে খুব ভালো জানা পূজারার, তাই মানছেন, ‘জানি আমি ডেভিড ওয়ার্নার কিংবা বীরেন্দর শেবাগ হতে পারব না। তবে কোনও একজন ব্যাটসম্যান যদি সময় নিয়ে খেলতে চায়, তাতে কোনও ভুল নেই।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘লোকজন আমার কাছ থেকে সেঞ্চুরি আশা করে। আমিও সবসময় ১০০ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলি, তবে প্রায় ৫০-এর কাছে টেস্ট গড় মানে হলো আপনি প্রায় প্রত্যেক দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করেছেন।’ এবারের মৌসুমে পূজারা পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করলেও একবারও পাননি সেঞ্চুরি। ৭৭ টেস্টে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ১৮টি, আর হাফসেঞ্চুরি সংখ্যা ২৫টি।