মিয়ানমারের অনীহায় ভেস্তে যেতে বসেছে ত্রিদেশীয় উদ্যোগ

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ত্রিদেশীয় উদ্যোগও ভেস্তে যেতে বসেছে! গত আগস্টে দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বেইজিং নতুন করে ত্রিদেশীয় আলোচনার বিষয়টিকে সামনে এনেছিল। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়েং ই। যেখানে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূতও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকায় ফিরেই পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং চীন ও মিয়ানমারের দুই রাষ্ট্রদূত মিলে নিয়মিত আলোচনার একটি ত্রিদেশীয় ম্যকানিজম প্রতিষ্ঠা হবে। তাদের কাজ হবে মাঠ পর্যায়ে অর্থাৎ রাখাইনে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা। অক্টোবরে ঢাকায় ত্রিদেশীয় ওই ম্যাকানিজম প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রথম বৈঠকও হয়েছে। সেখানে দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঢাকার প্রতিনিধি হিসাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মিয়ানমার বিষয়ক সেলের প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র বলছে, সেই বৈঠকে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল নভেম্বরে ত্রিদেশীয় ম্যাকানিজমের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক হবে। সেখানে মিয়ানমার রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য কি কি প্রস্তুত করেছে তার খতিয়ান উপস্থাপন করবে। যা নিয়ে রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু না, দফায় দফায় ঢাকার চেষ্টার পরও মিয়ানমার আজ অবধি সেই বৈঠক বসেনি। ঢাকা অবশ্য এখনও আশাবাদী চীন চাইলে হয়ত মিয়ানমার শেষ পর্যন্ত বৈঠকে বসতে রাজী হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে চীন আদতে কতটা আন্তরিক প্রত্যাবাসনে? সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, তারা এখনই চীনের ব্যাপারে নেতিবাচক কোন কথা বলতে চান না। চীনকে তারা আন্তরিকই মনে করছেন। হয়ত মিয়ানমার তাদের কথা শুনছে না- এমন মন্তব্যও করেন এক কর্মকর্তা। সমালোচকরা অবশ্য ভিন্ন কথা বলেন। তাদের মতে, চীন চাইলে মিয়ানমার বৈঠকে বসবে এবং রোহিঙ্গাদের ফেরাতেও রাজী হবে। এখানে বেইজিংয়ের প্রয়োরিটি বা গুরুত্বের মধ্যে বিষয়টিকে নেয়া এবং এ নিয়ে ক্রমাগত ঢাকা-বেইজিং আলোচনা জরুরি। তা না হলে ত্রিদেশীয় উদ্যোগ ভেস্তে যাবে এটা সময়ের অপেক্ষামাত্র।