বাগেরহাটে ১৫ মাসেও খোঁজ মেলেনি কলেজছাত্র শুভর

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শুভ মন্ডল হোস্টেলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও পরিবারের কান্না আর অপেক্ষার শেষ হয়নি। নানা জায়গায় খোঁজ করেও শুভর কোনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের ঘটনায় এখন গ্রামে চলছে নানা গুঞ্জন।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে হোস্টেলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন গোপালগঞ্জের কলেজছাত্র শুভ মন্ডল (২২)। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। শুভ মোল্লাহাট উপজেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের সাগর মন্ডল ও পূর্ণিমা মন্ডলের ছেলে।

নিখোঁজের ঘটনায় শুভর পিতা সাগর মন্ডল ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর এবং স্ত্রী পায়েল বৈরাগী ৮ নভেম্বর মোল্লাহাট থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সাগর মন্ডলের অভিযোগে জানা যায়, পরিবারের অনুমতি ছাড়াই প্রেমের সম্পর্কের কারণে একই গ্রামের বাবুল বৈরাগীর মেয়ে পায়েল বৈরাগীকে বিয়ে করেন তিনি। পরে দুই পরিবার মেনে নেয় তাদের বিয়ে। গত বছরের ৪ নভেম্বর সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে কলেজ হোস্টেলে যাওয়ার কথা বলে বের হন শুভ। কিন্তু এরপর আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

শুভর মা পূর্ণিমা মন্ডল বলেন, আমরা মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। কিন্তু এখনো পাইনি। আমার শুভ কোথায়, বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, কিছুই জানি না।

অন্যদিকে শুভর স্ত্রী পায়েল বৈরাগীর অভিযোগে বলা হয়, শ্বশুর-শাশুড়ির প্ররোচণায় শুভ তাকে ফেলে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

পায়েল বলেন, আমরা ক্লাসমেট ছিলাম। প্রেম করে বিয়ে করেছি। ওর মা-বাবা মেনে নেয়নি। আমি ১৫ মাস ধরে ওর জন্যে অপেক্ষা করছি।

স্থানীয়দের দাবি, শুভ-পায়েলের বিয়ের সময় গোপালগঞ্জ নোটারি পাবলিক অফিসে করা চুক্তিপত্রে বলা হয় যদি শুভ বিয়ে বিচ্ছেদ করতে চায়, তবে তাকে পায়েলকে দিতে হবে ২০ লাখ টাকা। আর যদি পায়েল বিচ্ছেদ চায়, তবে তাকে শুভকে দিতে হবে ৬ লাখ টাকা।এই বিশ লাখ টাকার শর্তই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কেউ বলছে শুভ নিখোঁজ নয়, হয়তো আত্মগোপনে আছেন। কেউ বলছেন, এটি দুই পরিবারের সাজানো নাটক।

শুভর বাবা সাগর মন্ডল বলেন, আমি দেশের নানা জায়গায় খুঁজেছি। আমার ছেলে বেঁচে আছে কিনা জানি না।
অন্যদিকে শুভর স্ত্রী পায়েল বৈরাগী বলেন, আমি শুভকে ছাড়া কিছুই চাই না।১৫ মাস পরও শুভর খোঁজ না মেলায় ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামে এখনো চলছে জল্পনা-কল্পনা।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়টি আমার নলেজে নেই।