ঝিকরগাছায় কৃষি প্রণোদনার ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ ঝিকরগাছায় কৃষি প্রণোদনার ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নাভারণ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত হতে খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন আবাদ প্রণোদনা কর্মসূচির রোপা আমন ধানের বীজ ও রাসায়নিক সারসহ অর্থবছরের বিভিন্ন আবাদে বিতরণকৃত ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্তৃক নামে-বেনামে বিতরণ, একই পরিবারে ২/৩জন, বারবার একই কৃষক ও তাদের পরিবারের মাঝে বিতরণসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

বঞ্চিত একাধিক কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল অনুসন্ধানে উপজেলার গঙ্গানন্দপুর, মাগুরা, শিমুলিয়া, গদখালী, পানিসারা, ঝিকরগাছা সদর,নাভারণ, নির্বাসখোলা, হাজিরবাগ, শংকরপুর ও বাঁকড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে সম্প্রতি দেওয়া কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত হতে খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন প্রণোদনা কর্মসূচিতে ব্যপক গড়মিলের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে।

তালিকায় থাকা নামের সাথে কৃষকের ছবির মিল না থাকার অসংখ্য প্রমাণ উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। রোপা আমন প্রণোদনা কর্মসূচির তালিকায় থাকা ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর ব্লকের তালিকায় ৮১ নাম্বারে ওবাইদুল, ৮২নাম্বারে সাহেব আলী নামের কৃষক দেখানো হলেও তাদের ছবির সাথে মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়া একই ব্লকের ৬,৭,৮, ৩৯, ৭১, ৭৬, ৮১,৮২,৮৮,১২০,১৩০ নাম্বারের কৃষকের নাম ঠিকানা ও ছবির মিল পাওয়া যায়নি। একই ঘটনা অন্য ইউনিয়নগুলোতেও ঘটেছে।

সম্প্রতি, এ বিষয় ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার কর্তৃক উপজেলা উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিআরডিবি) পজীপ (পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প) ও নাভারণ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনিছুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে বলে।