রাতের সড়কে দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এলইডি বাতি

0

ফকিরহাট (বাগেরহাট)সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সড়ক- মহাসড়কে দিন দিন বাড়ছে বিভিন্ন যানবাহনে নিষিদ্ধ এলইডি লাইটের ব্যবহার। সন্ধ্যা নামতেই সড়ক-মহাসড়কে এলইডি লাইটযুক্ত মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, মাহিন্দ্র, নসিমন, করিমন, প্রাইভেট কার, পিকআপ ও ট্রাক চলছে। এলইডি বাতির তীব্র ঝলকানিতে দুঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো।

রাতে ফকিরহাটের সড়কে বিভিন্ন যানবাহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাতের আঁধারে সড়কে চলার সময় এলইডি বাতির তীব্র আলোর বিকিরণে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় বিপরীত দিকের চালকদের। এর তীব্র আলো চোখে পড়লে কিছু সময়ের জন্যে চোখ স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি হারায়। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা বাহনগুলোর গতি, দূরত্ব ও আকার-আকৃতি নির্ধারণ করা যায় না। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন। দিনের পর দিন প্রশাসনের চোখের সামনে এমনটা ঘটলেও তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানান দুর্ঘটনার কবলে পড়া একাধিক ভুক্তভোগী।

স্থানীয় চিকিৎসক সেলিম শেখ, ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান, শিক্ষক প্রণব ঘোষসহ সড়কে চলাচলকারী বেশ কয়েকজন জানান, সন্ধ্যার পর সড়কগুলো ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, ইজিবাইকসহ নানা যানের দখলে থাকে। এ গাড়িগুলোতে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ এলইডি বাতি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

সম্প্রতি ফকিরহাটে রাতের বেলায় বেশ কিছু দুর্ঘটার ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে এলইডি বাতি ব্যবহারকারী ইজিবাইক, অটোভ্যানসহ অন্যান্য ছোট যানবাহনের সাথে দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর সংঘর্ষেও কারণে।

অটোভ্যানচালক কবির মিয়া বলেন, আমরা যে লাইট ব্যবহার করি তা এলইডি হওয়ায় ব্যাটারির বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। এছাড়া এগুলোর দাম অনেক সস্তা। আবার আলোও বেশি। তবে এর আলোটা চোখের জন্যে সমস্যা সৃষ্টি করে- তা আমরাও সড়কে চলার সময় বুঝতে পারি। কিন্তু আমাদের কাছে বিকল্প তো কিছু নেই।

ফকিরহাট কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর আহম্মেদ জানান, এসব এলইডি বাতির ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে চালকদের সাথে নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব লাইট বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।