পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে যশোর শহরে তীব্র যানজট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের মতো যশোরেও ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে শহরের মনিহার এলাকা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে সকাল থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন ক্যাম্পাসে। পরে মিছিলসহকারে মনিহার চত্বরে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ৬ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল এবং চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার ও মনোটেকনোলজি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

যশোরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক মনিহার চত্বর এলাকা দখল করে শিক্ষার্থীরা হাতে হাত রেখে অবরোধ করে রাখায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা এই অবরোধে দেশের সকল জেলার সঙ্গে বাসচলাচল বন্ধ হয়। সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয় যানবহনের দীর্ঘ লাইন। দীর্ঘক্ষণ পরিবহনে বসে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল অবর্ণনীয়। রিকশা বা ইজিবাইক আটকে দেওয়ার কারণে অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থানে যেতে বাধ্য হন।

রাকিব হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না। যে কারণে আমরা আমাদের আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে এখন রাজপথে নেমে এসেছি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি আদায়ে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো বলে তিনি জানান।

শরিফুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে অনেক সংগঠন অনেক আন্দোলন করেছে, সরকারও তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। আমরা কোনো ধ্বংসাত্মক কিছু করতে চাই না। তবে আমাদেরকে দুর্বল ভাবলে সরকার ভুল করবে। প্রয়োজনে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে দাবি আদায়ে সক্ষম হবো।

যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ছয় দাবিতে মনিহার এলাকা অবরোধ করেছে। এতে চারটি সড়কে লম্বা যানজট সৃষ্টি হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এতে কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।