তৎপর হয়েছে পুলিশ : যশোর রেলবাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে ছিনতাইকারী-সন্ত্রাসীদের আটকের আশ্বাস

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের আটকের দাবিতে যশোর শহরের রেলবাজারের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাঠি মিছিলের পর টনক নড়েছে পুলিশ প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তারা রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের আটকের আশ্বাস দিয়েছেন। রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবুল বাশার, ডিবি পুলিশের ওসি মো. মঞ্জুরুল হক ভূঞা, কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসির দায়িত্বে থাকা ইনসপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন এবং রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, আক্কাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার তাদেরকে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা জানতে পেরে পুলিশ সুপার তাদের সাথে কথা বলতে পুলিশ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান, তাদের মূল সমস্যা ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি এবং কাঁচা বাজারে রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় বসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্থান ভাড়া আদায়। বিদ্যুৎ, সোহেল, আসিফ, কুরবান, বড় ফয়সাল ও ছোট ফয়সালসহ চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা প্রায় রাতে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছে। ষষ্ঠীতলায় সড়কের দুই পাশে সরকারি জায়গায় বসে ব্যবসা করেন সবজি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ষষ্ঠীতলার একটি চক্র তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১শ’ টাকা করে স্থান ভাড়া আদায় করছেন। এ কারণে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তারা এসব সমস্যার প্রতিকার পেতে চান। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান। জানমালের নিরাপত্তা চান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার রেলবাজারে পুলিশ পাহারা জোরদারসহ ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য ব্যবসায়ীদের আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকায় ‘বারবার রাস্তায় নামছেন ব্যবসায়ীরা/যশোর রেলবাজারে অপরাধী দমনে নিষ্ক্রিয় পুলিশ’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।