কয়রা উপকূলের মোড়ে মোড়ে শীতের পিঠার পসরা

0

জি এম রিয়াজুল আকবর,কয়রা (খুলনা) ।। খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় শীতের শুরুতে রাস্তার পাশে, বাজারে, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আবার বাড়ির সামনে বসে পিঠা বিক্রি শুরু করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। বসে অথবা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে পিঠা খেতে দেখা যাচ্ছে পথচারীদের।

শীত মৌসুমে প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর অয়োজন গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রীতি ও ভোজন কিন্তু থেমে নেই।

কয়রা সদর, বামিয়া সরদারবাড়ি মোড়, বামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, গিলাবাড়ি বাজার, ভান্ডারপোল বাজার, আমাদী বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাশবর্তী মোড়ে, সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উঠছে। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু পিঠা। পিঠা খেতে নজর কাড়ছে পিঠা প্রেমিকদের কেউ লাইন দিয়ে অথবা বসে গরম পিঠা খাচ্ছেন। অনেকেই পরিবারের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

পিঠা ক্রেতা ফরহাদ হাওলাদার বলেন, সন্ধ্যায় সময় মাঝে মধ্যে ২/১ পিঠা কিনে খাই । গরম পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে।

ভান্ডারপোল গ্রামের মফিজুল ইসলাম শেখ বলেন, শীতের সময় বাজারে এসে বন্ধুবান্ধব মিলে ঠিক খাই। শীতের সন্ধ্যায় পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতিবছর আমাদের বাজারে শীতকালে পিঠা বিক্রি হয়।

জায়গীর মহল হাসপাতাল মোড়ে পিঠা বিক্রেতা আঃ গফুর গাজী বলেন, আমি প্রতিবছর শীতের সময় সন্ধ্যায় পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ টাকার মতো আয় হচ্ছে। আমার মতো অনেকেই শীতে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালায়।