যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নেই হাইওয়ে পুলিশের

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর)॥ যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের তীব্র যানজটসহ একের পর এক ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কোন ভূমিকা নেই নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ সময়ে তারা ব্যস্ত থাকেন থ্রিহুইলার ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষায়।
সোমবার দিনভর যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা বাজার বাসস্ট্যান্ড, কীর্তিপুর, হাজেরালী, চারাতলাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কে তীব্র যানজট। কপোতাক্ষ ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে সারি সারিভাবে থ্রিহুইলার, ইজিবাইক ও ভ্যান রাখার কারণে সাধারণ পথচারীরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না। হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের রাস্তার পাশের ঝোপঝাড়ের মধ্যে গাড়ি রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। থ্রিহুইলার বা মোটরসাইকেলকে সন্দেহজনক মনে হলে তা ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষার নামে তারা টাকা আদায় করেন। অথচ মহাসড়কের ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে এক বা একাধিক বাসযাত্রী ওঠানামা করানোর কারণে বাজারের যানজটের সৃষ্টি হলেও তা দেখার কেউ নেই। যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
ঝিকরগাছা বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের দাবি, যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের ব্যস্ততম এলাকায় মহাসড়কের গা ঘেঁষে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, মালামাল লোড-আনলোড, অবৈধভাবে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা, নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে, যানজট হচ্ছে।
নাভারন হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বলেন, তিনি বাগআচঁড়া এলাকায় আছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝিকরগাছা বাজারসহ যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের যানজট মুক্ত করাসহ সকল প্রকার অনৈতিক কাজ বন্ধ করা হবে।