বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৪ শত ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির প্রথম চালানে ভারতে গেলো ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ

0

নাভারণ (যশোর) সংবাদদাতা ।। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৪ শত ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির প্রথম চালানে ভারতে গেলো ১৮ মেট্রিক টন (১৮ হাজার কেজি) ইলিশ মাছ।

৬টি ট্রাকে করে গতকাল বেনাপোল বন্দরে পৌছায় ইলিশের এ চালান। মাছের মান পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টার সময় দেয়া হয় ভারতে যাওয়ার অনুমতি। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য পড়ছে ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১হাজার ১ শত আশি টাকা প্রতি কেজি রফতানি মূল্য। ২৪ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রফতানি কারককে ২ হাজার ৪ শত ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়। এই অনুমতির মেয়াদ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।

উৎসবের মৌসুমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত ২০১২ সাল থেকে কয়েক বছর পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ পৌঁছত। আগের সরকার গুলো একে বলত, ‘উপহারের ইলিশ’। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো নিয়ে কঠোর মনোভাবের কথা জানায়। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতে ইলিশ রফতানি করছে।

বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে ইলিশের চালান বন্দরে আসার পর মান নিয়ন্ত্রন যাচাই করে ভারতে রফতানির অনুমতি দেয়া হয়। আজ প্রথম চালানে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে যদি আরো কোন ইলিশ মাছের ট্রাক বন্দরে আসে তাদেরকেও ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।

বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, রফতানিকারকরা ১০ মার্কিন ডলার মুল্যে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশী টাকায় যার মুল্য প্রায় ১২০০ টাকা। এ পর্যন্ত ৬টি প্রতিষ্ঠান ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ ছাড়াতে তাদের কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমস হাউজে জমা দিয়েছেন। মাছের চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় আমাদের পক্ষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।