যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা,আসামি ৬৩

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনার পতনের একদিন আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা যশোর শহরের লালদীঘির পশ্চিম পাড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে নজিরবিহীন তা ব এবং অগ্নিসংযোগ করে। সেই ঘটনায় গত শনিবার গভীর রাতে ৬৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন জেলা বিএনপি’র সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. এম এ গফুর।
ওই মামলার আসামিরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বিতর্কিত শাহাজাহান কবির শিপুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলোচিত আলমগীর কবির সুমন ওরফে হাজী সুমন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, লেবতুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলোচিত শাহারুল ইসলাম, রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ, শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার মাহমুদ হাসান বিপুল, ঘোপ বুুড়ির বাগান এলাকার আক্তারের ছেলে সুজন, ঘোপ পিলু খান সড়কের জাহাঙ্গীরের ছেলে রাসেল, আলমগীরের ছেলে রেজওয়ান, ঘোপ কবরস্থান পাড়ার আসলাম কাজীর ছেলে হাশেম কাজী, পূর্ব বারান্দী পাড়া বউ বাজার ২ নং কলোনির আবুল হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী কসাই মনির, বারান্দী পাড়া শতদল মোড় ২ নং কলোনির হারুনের ছেলে নান্টু, পূর্ব বারান্দী মোল্লাপাড়ার তৌসিফুর রহমান রাসেল, ঢাকা রোড বিসমিল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের সামনের এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে আনোয়ার হোসেন সবুজ, পুরাতন কসবা পুলিশ রাইন্স এলাকার মঈন উদ্দিন মিন্টু, সদর উপজেলার নুরপুরের (ডাকাতিয়া) অহে খাঁ’র ছেলে সাগর খাঁ, আলমনগর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে টিপু সুলতান, বিরামপুরের মৃত নুর গাজীর ছেলে শাহাজান আলী কসাই, ছোট হৈবতপুরের জয়নালের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, বিরামপুরের মোকারম হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী হাদিউজ্জামান চিমা, তালবাড়িয়ার মৃত বাহের চাকলাদারের ছেলে আসমত আলী চাকলাদার, শালিয়াটের আলতাফের ছেলে ইমলাক, আর এন রোডের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কালো ফারুক, জহির উদ্দিন সরদারের ছেলে পল্টু, অম্বিকা বসু লেন নারিকেল বাগান এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে এজাজ আহমেদ, ডা. আব্দুল বারীর ছেলে টিপু সুলতান, তালবাড়িয়ার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ফিরোজ, উপশহর ডি-ব্লক এলাকার সাগর, সুলতানপুর প্রাইমারি স্কুল এলাকার মনু মিয়ার ছেলে ডেঞ্জরাস দিপু, তালবাড়িয়ার মৃত জাহান আলীর ছেলে টিপু সুলতান, বারান্দীপাড়া কদমতলা মোড় এলাকার নাজিম মুন্সীর ছেলে কামাল হোসেন, পুরাতন কসবা শহীদ মিনারের পাশের মৃত আবু তালেবের ছেলে মামুন কবির ও মাসুম করিম, চাঁচড়া রায়পাড়ার জলিল মুন্সীর ছেলে রিয়াজ, একই এলাকার চঞ্চল ওরফে টেরা চঞ্চল, বালিয়াডাঙ্গার আকরাম মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম, শাহাজান মোল্লার ছেলে বাদশা মিয়া, ভাতুড়িয়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে শফিয়ার রহমান, আয়ুব আলীর ছেলে আজাদ, তফসীডাঙ্গা পুলেরহাটের সাখায়াতের ছেলে মামুন, মৃত কুড়ন তরফদারের ছেলে সিরাজুল, চাঁচড়া রায়পাড়া পশু হাসপাতাল এলাকার মৃত হারুনের ছেলে সোহান, পূর্ব বারান্দী পাড়া সার গোডাউন এলাকার আব্দুল আজিজ ব্যাংকারের ছেলে গোলাম কিবরিয়া সানি, হামিদপুর নুরিতলার জিন্নাতের ছেলে টেরা সুজন, পূর্ব বারান্দী সরদার পাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাকির হোসেন রাজিব, নাজির মিয়ার ছেলে সনি, অম্বিকা বসু লেনের আব্দুল মজিদের ছেলে টেরা মোস্তফা, চাঁচড়া রায়পাড়ার নুরু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, কোমর মিয়ার ছেলে বাপ্পি, ষষ্ঠীতলা বুনোপাড়ার মৃত লতিফ শেখের ছেলে শিকদার, সিটি কলেজ পাড়ার মশিয়ারের ছেলে নাহিদ, শহিদুলের ছেলে সাদ্দাম, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার পেন্টুর ছেলে জুয়েল, ছোট মনুর ছেলে মানিক, আকবার হোসেনের ছেলে বিপ্লব, মুরগির ফার্ম এলাকার লুই রাজু, বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প পানির ট্যাংকি এলাকার রুমন শিকদারের ছেলে রোহান ও শংকরপুর মহিলা মাদ্রাসা এলাকার শফির ছেলে শয়ন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১শ’/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অ্যাড. এম এ গফুর উল্লেখ করেছেন, উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে শহরস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়। এরপর তারা বঙ্গ বাজারের পাশের গলি দিয়ে লালদীঘির পাড়স্থ বিএনপি কার্যালয়ে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা বিএনপি কার্যালয়ে রক্ষিত ২টি ল্যাপটপ, স্টিলের আলমারি ও দেওয়াল ঘড়িসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয়। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে। এরপর পেট্রোল ঢেলে বিএনপি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে চলে যাওয়ার সময় আসামি হিটার নয়ন, লাল্টু, আনোয়ার হোসেন সবুজ, রাজু আহমেদ, আলিমুজ্জামান মিলন, হাদিউজ্জামান চিমা, কালো ফারুক, টেরা চঞ্চল ও মামুনসহ অনেকে সেখানে একের পর বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আসামি আনোয়ার হোসেন বিপুল, হাজী সুমন এবং মাহমুদ হাসান লাইফসহ অনেকে এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা অস্ত্র ও বোমা সরবরাহ এবং অর্থের যোগান দিয়েছেন। ওই হামলার পর আসামিরা বিভিন্ন শ্লোগান এবং উল্লাস করতে করতে সেখান থেকে চলে যায়। #