কয়রা-পাইকগাছা-বেতগ্রাম সড়কের কাজ অসমাপ্ত রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদার

0

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা॥ খুলনার কয়রা -পাইকগাছা-বেতগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই পালিয়েছেন ঠিকাদার।
সওজ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন কাজের সময়সীমা ধরা হলেও কয়েক দফা সময় বাড়ানোর সঙ্গে বরাদ্দও বাড়ানো হয়। ৬৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটির শুরুতে বরাদ্দ ছিল ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। যা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৩৭৯ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা করা হয়। এ পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৮ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। প্রকল্পের মধ্যে ছিল সড়ক প্রশস্ত, মজবুত ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলিকরণ, কালভার্ট নির্মাণ, পেভমেন্ট নির্মাণ ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক কাজী মোজাহারুল হক বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের আস্থাভাজন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কৌশলে নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে গেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওছার জানিয়েছেন, প্রকল্পের সর্বশেষ মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। টাকা তুলেছে অর্ধেক। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আর কাজ করবেনা বলে লিখিতভাবে ১৫ আগস্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে।
৩৪ টি বাঁক সরলিকরণের কাজ বাদ রেখে কিছু স্থানে কার্পেটিং করা হয়েছে। ৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৩০টি স্থানে ২০ কিলোমিটার কাজ অসমাপ্ত থেকে গেছে। সেখানে বড় বড় গর্ত হয়ে কাদা-পানি জমে আছে। ভোগান্তি বেড়েছে সর্বসাধারণের।
এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদার কাজী মোজাহারুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প পরিচালক ও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন বলেন, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।