চৌগাছার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় এক রাতের অবিরাম বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার বিঘা রোপা আমন ধানের ক্ষেত পানির নিচে চলে গেছে। উঠতি ফসলের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন পৌরসভার অসংখ্য মানুষ।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাত যত বাড়তে থাকে বৃষ্টির পরিমাণও তত বাড়তে থাকে। সারা রাত ধরে একটানা বৃষ্টিতে উপজেলার বহু এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। বিশেষ করে নিন্মাঞ্চলে এখন থৈথৈ পানি। অধিকাংশ বিলের পানি বের হওয়ার কোন সুযোগ না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গুচ্ছপাড়ায় ঘরের চাল পর্যন্ত উঠেছে পানি। ওই মহল্লার বাসিন্দারা বৃষ্টিতে ভিজে ঘরের মালামাল রক্ষায় প্রাণপন চেষ্টা করেছেন। এদিকে অবিরাম বৃষ্টিতে পৌরসদরের বাকপাড়া বিলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এই বিলের পানি বের হওয়ার জন্য একটি খাল ছিলো যা বন্ধ করে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মানের ফলে পানি বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিলের পানি স্থানীয় নিরিবিলিপাড়ার অধিকাংশ বাড়ি ঘরে উঠে যায়। পানি উঠেছে কপোতাক্ষ ক্লিনিক ও ডিভাইন সেন্টারেও। খবর পেয়ে চৌগাছা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার গুঞ্জন বিশ্বাস উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বন্ধ হওয়া খাল খননের উদ্যোগ নেন।
সোমবার সকালে ২নং ওয়ার্ডের গুচ্ছপাড়ায় দেখা যায় ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি। এ সময় কথা হয় দুষ্টু সরদার, চন্দন সরদার, রুপা রানি সরদার, বাসন্তি সরদারের সাথে। তারা বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই মহল্লায় পানি জমে আর একটু বেশি হলে তো ঘরে পানি উঠে যায়। পানি বের হওয়ার কোন পথ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে আমরা সন্তানাদি নিয়ে কষ্টে দিন পার করি। বর্তমানে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছি।

কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা হতে ফোন আসতে শুরু করে। সকাল হলেই আমি সহকারী কমিশনার মহোদয়কে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে গিয়েছি। বৃষ্টিতে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এখনই নিরুপন করা সম্ভব না।
পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বাকপাড়া বিলের পানি বের হওয়ার খালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি পৌর কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় বিলের পানি বের করার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি দীর্ঘ দিনের এই সমস্যার নিরাসন হবে।