চৌগাছার পুড়াপাড়া বাজারের প্রবেশ মুখের সড়কে বেহালদশা

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার সীমান্তবর্তী পুড়াপাড়া বাজারের প্রবেশ মুখ ও বাজার অভ্যন্তরের সড়কগুলোর চারম বেহালদশার কারণে যেমন জনদুর্ভোগ বেড়েছে তেমন ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। বাজারটি দুই উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় কোনই উন্নয়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অথচ সরকার প্রতি বছর এই বাজার হতে দেড় কোটিরও বেশি টাকা রাজস্ব আয় করছে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত বাজারের প্রতিটি সড়ক নতুনভাবে নির্মানের পাশাপাশি বাজারের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার দাবি এলাকাবাসীর।
চৌগাছা উপজেলা সদর হতে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রায় ভারত সীমাস্তের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা পুড়াপাড়া বাজার। বাজারের তিন ভাগের এক ভাগ চৌগাছা উপজেলায়। আর দুই ভাগ পাশের মহেশপুর উপজেলায়। এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ চাল উৎপদান এলাকা হিসেবে পরিচিত পুড়াপাড়া বাজার। রয়েছে সহ¯্রাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বৃহৎ একটি পশুহাট। এছাড়া ব্যাংক, বীমা, এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কম নেই। পুড়াপাড়া বাজার পাড়ি দিয়ে সীমান্তে আছে বিজিবি ক্যাম্প। সব দিক দিয়ে বাজার হিসেবে যশোর ও ঝিনাইদাহ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকাতে এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। প্রতি বছর দেড় কোটিরও বেশি টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। নানা সমস্যার কারণে এই বাজারটি এখন সব শ্রেণি- পেশার মানুষের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চৌগাছা উপজেলা সদর হতে রওনা হয়ে মানুষজন যে সড়কটি দিয়ে বাজারে প্রবেশ করবেন সেই সড়কটির চরম বেহালদশা। মহেশপুরের শ্যামনগর মোড় হতে মূল বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কে জমে আছে পানি। মহেশপুরের মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান নিজ উদ্যোগে ৫০ থেকে ৬০ ট্রলি ইট- খোয়া ফেলে কোন রকমে চলাচল উপযোগী করেছেন। তারপরও ভ্যান ইজিবাইকসহ ছোটখাটো যান সেখানে উল্টে যাচ্ছে। আহত হচ্ছেন অনেকে।
খালিশপুর থেকে আসা ট্রলি চালক নাসির উদ্দিন বলেন, এমন সড়ক এখন দেশে আছে বলে আমার মনে হয়না।
চৌগাছার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান হবি বলেন, সড়কটি মেরামত করা জরুরি। ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ সড়কটি মাপযোক করেছে। হয়ত দ্রুত কাজ শুরু হবে।
মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, বাজারের যে অংশের সড়ক নষ্ট হয়েছে তা আমার উপজেলার অর্ন্তগত। সে কারণে মানুষের দুর্ভোগ বিবেচনায় আমি নিজ উদ্যোগে সেখানে বহু ইট- খোয়া ফেলে কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করেছি।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মুনিরা বলেন, আমি এখানে এসেছি খুব বেশি দিন হয়নি। এ ধরনের খবর আমার জানা নেই। তবে দ্রুত ওই এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।