মনিরামপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুস্থদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর)॥ মনিরামপুরে দুস্থদের মাঝে রিলিফের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওর হস্তক্ষেপ কামনা করা হযেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়,মনিরামপুর উপজেলায় দুস্থদের মাঝে জিআর(জেনারেল রিলিফ)প্রকল্পের আওতাধীন ৫৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। তালিকাভূক্ত দুই হাজার সাত শ পরিবারের মধ্যে এ চাল বিতরণের কথা। শ্যামকুড় ইউনিয়নে ১৫০ পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে মোট তিন মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হলেও বিতরণ করা হয়েছে মাত্র পাঁচ কেজি করে। শুক্রবার বিতরণের সময় এ অনিয়ম ধরা পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য রবি, মহিলা ইউপি সদস্য(সংরক্ষিত) ছবি রানী, গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথসহ সংশ্লিষ্টরা শুক্রবার সকাল থেকে পলিথিনে পাঁচ কেজি করে চাল ভরে বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় রীতিমত হৈচৈ পড়ে যায় ।চিনাটোলা গ্রামের অর্জুন দাস ও শ্যামল দাস অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের লোকজন এসে তাদেরকে পলিথিনে ভরা পাঁচ কেজি করে চাল দিয়েছেন। একই অভিযোগ করেন উত্তম দাস, আশোক দাস, বাবু দাস, হাজারী লাল, অনুকুল দাস, সুভাষ দাসসহ অধিকাংশ ভুক্তভোগী। আবার মান্দার দাস, লালন দাস, মনা দাস, অসিত দাস অভিযোগ করেন, তাদের দেওয়া হয়েছে চার কেজি করে।
আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় রীতিমত হৈচৈ শুরু হয়। অবশ্য সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ছবি রানী জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় প্রতি পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইউপি সচিব মৃণাল কান্তি দাস জানান, দুস্থদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান পাঁচ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন। শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেন, ২০ কেজির পরিবর্তে পাঁচ কেজি করে চাল বিতরণ করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তিনি ইউএনওর কাছে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল্লাহ বায়েজিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার জানান, ২০ কেজির পরিবর্তে পাঁচ কেজি বিতরণের কোনো সুযোগ নেই। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন পাঁচ কেজি কওে চাল বিতরণের সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুস্থদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবার কারণে ইউএনওর সাথে আলাপ করে বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, ১৫০ পরিবারের পরিবর্তে ছয় শ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। তবে চাল আত্মসাতের অভিযোগ থাকলে তদন্তপূর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।