খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যশোরে বিএনপির সমাবেশ কাল

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল ৩ জুলাই সমাবেশ করবে যশোর জেলা বিএনপি। এদিন বেলা ৩ টায় যশোরের ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীরা নবরুপে নবউদ্যামে জেগে উঠেছেন, এমনটি বলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠেয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে পাড়া মহল্লায় সর্বত্র দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। জেলা বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলা, উপজেলা বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এমনটি জানা যায়।
এ বিষয় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, দলীয় প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকালের এই সমাবেশ। সরকার তাকে বছরের পর বছর অন্যায়ভাবে সর্ম্পূণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দী করে রেখেছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ, সরকার তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। আজ দেশের সংকটকালে জনগণ বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। সেই প্রয়োজনীয়তার অনুভব থেকে ইতঃপূর্বে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মহানগরীতে অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশপাশি সাধারণ মানুষের ঢল নামে। বুধবার যশোরের এই সমাবেশেও ঠিক একই অবস্থার রূপ নেবে। ওই দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমগ্র যশোর শহর সমাবেশে রূপ নেবে। যেটি হবে যশোরের নিকট অতীতের এমনকি স্মরণকালে কোনো রাজনৈতিক দলের সর্র্বোচ্চ সমাবেশ।
কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, বুধবার সমাবেশের জন্য আমরা কেশবপুরবাসী পুরোপুরি প্রস্তুত। বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র দলীয় নেতাকর্মীরা নবউদ্যোমে জেগে উঠেছে। হাট বাজারে থেকে শুরু করে সবখানে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও জেগে উঠেছে। আমার উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশ ওই সমাবেশে যোগ দেবে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু বলেন, কর্মসূচির ঘোষণার পর আমার উপজেলা বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করি। এরপর আমার উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করে। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। যেহেতু এটি দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের সমাবেশ, সেহেতু এটি হবে সর্বোচ্চ সমাবেশ। এখানে দলীয় নেতাকর্মীর কোনো কার্পণ্য ছাড়াই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে সমাবেশকে সফল ও সার্থক করবেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল বলেন, সমাবেশ সফলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল তার ১৬টি ইউনিটের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিসভা করে। সমাবেশ সফলে দলীয় নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থান থেকে সমর্থন জ্ঞাপন করে। রোদ, ঝড়, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল তার সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সমাবেশে যোগ দেবে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আর গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। গণতন্ত্রের নেত্রীকে সরকার মিথ্যা মামলার ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। সেই গণতন্ত্রের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের জেলা ছাত্রদল সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। বুধবারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির সমাবেশে জেলা ছাত্রদলের অধীনস্ত সকল ইউনিটের নেতাকর্মী সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করে সর্বোচ্চ নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করবে।