খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী

0

খুলনা ব্যুরো॥ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। জনগণ মুক্তি পাবে। সরকার উপর্যুপরি মামলা ও সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রতিহিংসার শিকার। তারা খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখল করে আছে। খালেদা জিয়া অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। তাকে স্লো পয়জিং করে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর দায়ভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে।
সোমবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আগামীতে আন্দোলনের জন্যে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের জন্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে দেশের বুকের ওপর দিয়ে রেললাইনের অবৈধ চুক্তি হতো না। দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন হতো না। স্বৈরশাসন হতো না।
বিশেষ অতিথি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। খালেদা জিয়া অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। এটি হত্যার শামিল। আর এর দায়ভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে। এ অবস্থায় আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। দেশনেত্রী মুক্তি পেলে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহতথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল। খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, বেগম রেহানা ঈসা, কে এম হুমায়ুন করীর, ডা. আব্দুল মজিদ, যুবদলের নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শামীম কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, মহিলা দলের এলিজা খানম এলিজা, তসলিমা খাতুন ছন্দা, শ্রমিকদলের শফিকুল ইসলাম শফি, খান ইসমাইল হোসেন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, মোল্লা কবির হোসেন, ছাত্রদলের ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি প্রমুখ। হাফেজ মাওলানা জাহিদুল ইসলামের পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রওম শুরু হয়। সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।