হামিদপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক শহীদ পরিবারের সন্তানের বসতঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এ সময় প্রাণনাশের শঙ্কাও প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানের বড় ছেলে আকরাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বেয়াই নুরুল ইসলাম শিল্প ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ পরিশোধ না করায় ২.৯৭ একর জমি নিলাম করে ব্যাংক। সেই জমি কিনেছিলাম আমরা। পরবর্তী সময়ে ওই জমি দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ দখল নিতে ২৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন দুই শতাধিক সন্ত্রাসী, এস্কেভেটর, ভেকু মেশিন, ট্রলি নিয়ে হামলা চালান। ওই সময় তারা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে পুরো বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ঘরে রক্ষিত জমি কেনার ১০ লাখ টাকা, ৩০ ভরি সোনার গহনা, তিনটি গরু, ছয়টি ছাগল, প্রায় ৬০ টন ধান ও গমসহ কোটি টাকার মালামাল সাত-আটটি ট্রাক্টরের ট্রলিতে করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা তাদের নিলামে কেনা সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে এবং জুলুম-নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সভাপতির সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, হামিদপুরের ঘটনায় কেউই আমার সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলেননি। কাগজপত্রসহ থানায় এলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ জুন দুপুরে সদরের হামিদপুর পশ্চিমপাড়ায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শহীদ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর ভেকু মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দেড় শতাধিক লোকজন হামলা চালিয়ে ওই বাড়িতে লুটপাট চালায়। এ বিষয়ে ওইদিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য না করলেও পরদিন তিনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হামলার কথা অস্বীকার করেন।