নতুন অতিরিক্ত শুল্কায়নের কারণে ক্ষুব্ধ আমদানিকারকরা : বেনাপোলে বিক্ষোভ

0

বেনাপোল সংবাদদাতা ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারিকৃত নতুন আদেশে অতিরিক্ত শুল্কায়নের কারণে বেনাপোল বন্দরে মাছ, ফল ও সবজিসহ প্রায় ১০ ট্রাক পচনশীল পণ্য আটকা পড়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় আমদানিকারকরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে এ বিক্ষোভ করে আমদানি-রফতানি বন্ধের হুমকি দেয় বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী হোসেন জানান, গত ২৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা
কমিশনারেটের এক সভায় আমদানিকৃত শুল্কায়ন সমতা বজায় রাখা ও আমদানিকারকদের জন্যে সুষম সুবিধা নিশ্চিতকরণের অজুহাত দেখিয়ে আমদানি পর্যায়ে মাছ শুঁটকি, টমেটো, পান ও ফলের সঠিক পরিমাপ নির্ধারণে পণ্যবাহী ট্রাকের চাকার সংখ্যার ভিত্তিতে ন্যূনতম ওজন প্রস্তাব ও সুপারিশ করা হয়। যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করে কাস্টমস। এতে লোকসানের কবলে পড়ে পণ্য চালান খালাস না নেওয়ায় বন্দরে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক।
আমদানিকারক শামিম গাজী জানান, এনবিআরের নতুন এ মনগড়া আইনে তাদের ট্রাক প্রতি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত শুল্ক গুণতে হবে। এতে আমদানি কমবে এবং দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির হবে। বিষয়টি এনবিআরকে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানান তিনি।
বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, এনবিআরের জারিকৃত নতুন আদেশের অনুচ্ছেদ ৪ কাস্টমস
মূল্যায়ন না করায় তারা পণ্য চালান খালাস নিতে পারছে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি সমস্যা নিরসনে কাস্টমস পদক্ষেপ না গ্রহণ করে তবে আজ শনিবার থেকে এ পথে তারা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এনবিআরের নতুন আদেশ তারা কার্যকর করছেন। তবে কয়েকজন আমদানিকারক অভিযোগ জানিয়ে পণ্য খালাস নিচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ খালাস নিয়েছেন। তবে যারা পণ্য খালাস নেননি তাদের বিষয়ে রোববার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।