বাজারে মসলার দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ ডবল সেঞ্চুরি

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন
কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়িয়েছেন। এছাড়া বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। পেঁয়াজ দাম বেড়ে আর কমেনি। রসুনের দামও বাড়তি। বর্ষাকাল আসলেও গ্রীষ্মকালীন সবজি রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বেড়েছে মুরগির ডিমের দাম। আটা-ময়দার দামও অনেক বেশি। ভোক্তাদের অভিযোগ সরকারি নজরদারি সংস্থাগুলোর তৎপরতায় ঘাটতি থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। শুক্রবার (১৪ জুন) যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানি ঈদে মসলার প্রচুর চাহিদা থাকে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার যশোরের বড় বাজারে বড় এলাচ খুচরা প্রতি কেজি ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা জানান, গত ২০/২৫ দিন আগেও বড় এলাচ ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩৩শ টাকা কেজি, গত ২০/২৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৭শ টাকা। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২হাজার টাকা, গত ২০/২৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫শ টাকা। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে ওঠার পর আর নামেনি। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। মসলার দাম বৃদ্ধিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন।
এ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের কেজিতে আরও ১২০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতা বাদল সাউ জানান, তিনি শুক্রবার প্রতি কেজি ঢাকার কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করেেেছন। বড় বাজারের আড়ত ‘নিতাই গৌর ভা-ারের’ অন্যতম স্বত্বাধিকারী নিতাই সাহা জানান, খরায় মরিচের ফলন বিপর্যস্ত হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
এদিকে বর্ষাকাল চলে আসলেও বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমেনি। বিক্রেতা নাসির আলী জানান, তিনি শুক্রবার ভালোমানের সজনেডাটা প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৫০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ৮০ টাকা, উচ্ছে ১০০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৯০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, প্রচ- খরায় সবজির ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাজারে এ সপ্তাহে প্রতি পিস খামারের মুরগির ডিমে আরও ১ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আটা ও ময়দার দামও বেশি। খোলা আটা থেকে প্যাকেট আটা প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা। আর খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা। প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা।
বাজার করতে আসা ক্রেতা ঘোপের বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী লুৎফর রহমান জানান, খরায় সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু মসলার দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না। তিনি বাজারে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছেমত পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারি নজরদারি সংস্থাদের গাফিলতিকে দায়ী করছেন।