জমলো না ঈদের পর দিনের চামড়ার হাট

0

শিকদার খালিদ॥ জমলো না কোরবানির ঈরে পর দিন দেশের অন্যতম যশোরের রাজারহাটের চামড়ার হাট। বিক্রেতারা বলছেন, দাম পাচ্ছেন না। অপরেিক ক্রেতার অভিমত লবণ ও লেবারের ব্যয় বৃদ্ধিতে সংকটে তারা।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম যশোরের রাজারহাট চামড়ার মোকাম। সপ্তাহের মঙ্গল ও শনিবার এখানে হাট বসে। সে হিসেবে ঈদুল আজহার পর দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে হাটে চামড়া আসতে শুরু করে। তবে দাম নিয়ে হতাশ হয়েছেন বিক্রতারা।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দোহাকুলা গ্রামের স্বজন দাস বলেন, হাটে ১৪০ পিস গরুর চামড়া নিয়ে এসেছেন তিনি। ৬শ থেকে ৮শ টাকা দামে কিনেছেন প্রতিটি। কিন্তু বিক্রি করতে হল প্রতিটি ৮শ টাকা করে।
খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিয়া গ্রামের দেবেন দাস ৪২পিস চামড়া নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করেছেন প্রতিটি ৪শ থেকে ৬শ টাকা করে। তিনি জানান, চামড়া কিনতে হয় মান অনুযায়ী ৪ থেকে ৫শ টাকা করে প্রতিটি। এর সাথে যোগ হয় সংরক্ষণের জন্য লবণ ও হাটে আনতে পরিবহণ খরচ। কিন্তু যে দামে বিক্রি করেছেন তাতে তার খরচ উঠলো না।
মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের সঞ্জয় দাস বলেন, দাম কম হলে চামড়া যে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন, তার উপায় নেই। কারণ চামড়া সংরক্ষণ করতে গেলে ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। লবণের দাম এখন অনেক। সেই ব্যয় করে যে আগামী হাটে লাভে বেচতে পারবেন সেই সম্ভাবনা খবই কম। তাই যে দাম পাচ্ছেন তাতেই বিক্রি করে দিচ্ছেন।
হাটে চামড়ার ক্রেতা আড়ৎদার আবু বক্কার সিদ্দিকী শাহীন জানান, ঈদের যে চামড়া হাটে ওঠে তার বেশির ভাগেরই মান াকে খুবই কম। বাড়িতে অনাভিজ্ঞ লোকেরা গরু বা ছাগলের শরীর থেকে নিখুত ভাবে চামড়া ছিলতে পারেন না। আবার যারা বিভিন্ন বাড়ি থেকে চামড়া সংরক্ষণ করেন তাদের অনেকেই মৌসুমি ব্যবসায়ী, চামড়া কিনতে গিয়ে বেশি দামে
নিম্নমানের চামড়া কিনে ফেলেন। এতে দামের হেরফের হয়।
যশোর রাজারহাট চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসান জানান, ৫০ টাকা বর্গফুটে ঢাকায় চামড়া বিক্রি করতে না পারলে তারে লাভ হয় না। সে হিসেবে চামড়া কিনতে হয় তাদের। আবার গত কয়েক বছর ধরে চামড়া সংরক্ষণের ব্যয় বেড়েছে অনেক। চামড়া সংরক্ষণের প্রধান দ্রব্য হয়েছে লবণ। সেই লবণের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে  লবণ ব্যাপক উৎপাদন হলেও দাম কমে না। বর্তমানে প্রতি বস্তা লবণ এক হাজার টাকা উপরে বিক্রি হয়েছে । লবণ যি বস্তা প্রতি হাজার টাকার নিচে বিক্রি হয় তবে সংরক্ষণ খরচ কিছুটা কমে। এছাড়া লেবারের (শ্রমিকের) খরচও বেড়েছে। লেবার সংকটও রয়েছে।