শার্শার সাতমাইল পশুহাট সরগরম

0

মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা(যশোর)॥ কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে যশোরের শার্শার সাতমাইল পশুহাট। গরু ও ছাগল কিনতে দূর -দূরান্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি গরু ব্যবসায়ী গরু ব্যাপারিরা সাতমাইল পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকেন।
শনিবার দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু -ছাগল উঠেছে এই বাজারে। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা- ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেখা যায়। ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশি। আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি।
শনিবার দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে দেখা যায়, নানান আকারের, নানান ধরনের হাজার হাজার গরু উঠেছে। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছেন। অনেকে গরু পছন্দ করলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে গরু না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। বাজারে দেখা যায়, বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদ বেশি। কিন্তু তার দামও বেশি।
কথা হয় ফেনির গরু ব্যবসায়ী মোস্তফা মিয়ানতের সাথে । তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে এই পশুহাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। অনেক লাভও হয় তার। তিনি বলেন, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্যে গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে। ব্যাপারি ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি চাওয়ায় বেচাকেনা অনেক কম।
গরু ব্যবসায়ী রাজু ও ফয়সাল বলেন, এ বছর গরুর দাম অনেক কম। তারা বলেন, ছোট ছোট দেশি গরুর প্রতি মানুষের নজর বেশি। যে কারণে খামারের বিদেশি জাতের অনেক গরু বাজারে উঠলেও ক্রেতা কম।
সরকারের পক্ষে পশু হাটের খাজনা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনেক গরু উঠলেও বেচাকেনা অনেক কম। কারণ গো- খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় ব্যাপারীরা তাদের গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন। এ ছাড়া শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতে পারেননি।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ ম-ল বলেন, শার্শায় মোট ১২৯৫ টি ছোট বড় খামার আছে। এই খামারে কুরবানির জন্যে ৪ হাজার ২টি গরু ও ১৩ হাজার ১৪০টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, শার্শায় কুরবানির পশুর চাহিদা ১০ হাজার ১৯৫ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ৬ হাজার ১৪০টি বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে। ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ ম-ল বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবেন।