চুয়াডাঙ্গায় পরিকল্পিত উপায়ে দুম্বা পালন

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা॥ চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের অদূরে দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামে ২০১৮ সাল থেকে গো গ্রিন সেন্টারে পরিকল্পিত উপায়ে দুম্বা প্রজনন খামারে পালিত হচ্ছে এবং এখান থেকে চাহিদা মত বিক্রি করা হচ্ছে দুম্বা। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এ জেলায় দুম্বা পালন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা যায়, দুম্বা প্রজনন খামারে বর্তমানে দু’ধরনের জাতের দুম্বা রয়েছে। এগুলো হলো মধ্যপ্রাচ্যের সাদা রঙের ‘আয়োসী’ ও আফ্রিকার সাদা ও খয়েরি রঙের ‘ রেড মশাই’ জাত। দুম্বা মূলত ছাগল-ভেড়া পালনের মত পালন করা যায়। এরা প্রতিদিন ভূষি, খৈল, ডালের খোঁসা ও চালে কুঁড়ো এবং নেপিয়ার ঘাস খায়। ৩ থেকে ৪ মাস বয়সের দুম্বার বাচ্চার ওজন হয় ১২ থেকে ১৫ কেজি হয়। দেড় বছর বয়সের ছাগী দুম্বার ওজন হয় ৪৫ কেজি এবং আড়াই বছরের পাঁঠা দুম্বার ওজন হয় ৭০ থেকে ৮০ কেজি। তারা গর্ভধারণের ৬-৭ মাস পর ১টি অথবা ২টি বাচ্চা প্রসব করে। তবে ১০ থেকে ১২ মাস বয়সে দুম্বা গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়। ৬ মাস পর পর প্রত্যেকটি দুম্বার পিপিআর ও গোট পক্স টিকা এবং ৩ মাস পর পর কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়। দুম্বা খামার থেকে ইচ্ছুক ক্রেতাদের একটি তালিকা করা হয়। ওই তালিকা অনুযায়ী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুম্বা বিক্রি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের লাইভস্টক টেকনিক্যাল কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, দুম্বাগুলো খুবই নিরিহ। কোন চিৎকার চেঁচামেচি করেনা। বছরে দু’বার বাচ্চা দেয়। বাচ্চাগুলো খুবই সুন্দর হয়।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ জানান, ২০১৮ সাল থেকে দু’টি জাতের দুম্বা আমরা পুষছি। এই প্রজনন খামার থেকে আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুম্বার বাচ্চা সরবরাহ করছি। দুম্বা পালনের জন্যে পারিবারিক পর্যায়ে ছোট ছোট খামার তৈরির জন্যে আমরা আমাদের সদস্যদের উৎসাহিত করছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন খাতে দুম্বা পালন একটি সম্ভবনাময় খাত। চুয়াডাঙ্গার ওয়েভ ফাউন্ডেশন আমাদের মাধ্যমে দুম্বা প্রজনন ও সম্প্রসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।