জীবননগরে কাঠপট্টিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ২

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কাঠপট্টিতে অগ্নিসংযোগের মূল আসামি সোনা মিয়াকে সহযোগীসহ আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একই উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাট থেকে তাদের আটক করা হয়। এদিন বেলা ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানান।
আটকরা হলেন, জীববনগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সোনা মিয়া (২৫) ও একই উপজেলা বসতীপাড়ার খেজমত আলীর ছেলে শামীম হোসেন (২৯)। তাদের কাছ থেকে ১টি হিরো ১০০ সিসি লাল রঙের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন,জীবননগর উপজেলা শহরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সপাড়ায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের মেয়ে খুশি খাতুনের সঙ্গে উপজেলার উথলী ইউনিয়নের একতাপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সোনা মিয়া ৮ বছর
প্রেম করার পর ৪ বছর আগে বিয়ে করেন। খুশি খাতুন পেশায় একজন মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট। অন্যদিকে সোনা মিয়া বেকার যুবক। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ ছিল। গত ৯ মাস আগে খুশি খাতুন তার পিতার বাড়িতে চলে যান। সর্বশেষ ঘটনার চারদিন আগে খুশি খাতুন সোনা মিয়াকে তালাক দেন। কিন্তু সোনা মিয়া সে তালাক কোনভাবেই মানতে পারছিলেন না। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত কাঠপট্টিতে মোটরসাইকেলে যান। সেখানে নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল থেকে পেট্টোল বের করে সেখানে থাকা কাপড়ে লাগিয়ে তার শ্বশুর খোরশেদ আলমের কাঠের ফার্নিচারের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে জীবননগর, দর্শনা ও পাশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৬টি ছোট বড় কাঠের ফার্নিচারের দোকান পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১ কোটি টাকা। ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর উপজেলার আঁশতলাপাড়ার মরহুম ওসমান গনির ছেলে শহিদ (৪০) জীবননগর থানার একটি মামলা করেন। এরপর তার পরামর্শে এবং কিছু কৌশল অবলম্বন করে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবীদ হাসান ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরামুল হোসাইন এবং এসআই দিপু মন্ডলসহ জীবননগর থানার একদল পুলিশ ঘটনার পরপরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের আটকের জন্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিয়ালমারী পশুহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।