মনিরামপুরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থী ও বাসচালককে মারধর : আহত ৪, আটক ২

0

যবিপ্রবি সংবাদদাতা ॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিআরটিসি বাসের চালক ও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় চলা এক লোকাল বাসের চালক ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। রোববার  উপজেলার কুয়াদা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে মনিরামপুর থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার যবিপ্রবির মনিরামপুর টু ক্যাম্পাসগামী বিআরটিসি বাস যশোরের মনিরামপুরের কুয়াদা বাজারে এসে পৌঁছালে স্থানীয় একটি লাইন বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসকে ধাক্কা দিয়ে লুকিংগ্লাস ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে কুয়াদা বাজার পার হয়ে আট মাইল নামক স্থানে পৌঁছলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালক ওই লোকাল বাসের চালককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে লোকাল বাসের চালক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালককে মারধর করে। এ অবস্থা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা বিআরটিসির বাস ড্রাইভারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণ করে তারা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা হামলাকারীদের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে যবিপ্রবির পরিবহন প্রশাসক ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে আটক করে।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালক পিন্টু বলেন, মনিরামপুর থেকে বাস নিয়ে আসার সময় কুয়াদা বাজার আট মাইলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লোকাল বাস আমাদের গাড়ির লুকিংগ্লাস ভেঙে দেয়। আমরা বাস থামালে তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
পরিবহন প্রশাসক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের বিআরটিসি গাড়িটি মনিরামপুর থেকে ফিরে আসার সময় সেখানকার লোকাল বাস আমাদের বাসকে ধাক্কা দিয়ে লুকিংগ্লাস ভেঙে দেয় এবং পরবর্তীতে আমাদের বাসচালক ও হেল্পারকে মারধর করে। ঘটনাটি শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডিসহ আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি সমাধান করেছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হাফিজউদ্দিন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ঘটনাস্থলে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , আমাদের প্রক্টরিয়ালবডি এবং পরিবহন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে সকলের সাথে আলোচনা করে আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকেই লোকাল বাসটির চালক এবং সুপারভাইজার কে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।