শোক ও গৌরবের ভাষার মাস

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। বাংলা ভাষাভাষী ছাত্র-শিক্ষক-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভাষা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ায় প্রদেশব্যাপী আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে। একই সাথে বায়ান্নোর এই দিনে জেলখানায় বন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে ‘রাজবন্দী মুক্তি আন্দোলন’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রনেতা জিল্লুর রহমান। সভা থেকে গাজীউল হককে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট রাজবন্দী মুক্তি আন্দোলন কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনের এ সভায় জিল্লুর রহমানসহ নাদিরা বেগম ও সামসুল হক চৌধুরী রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি তুলে বক্তব্য রাখেন। এরপর এ কমিটির উদ্যোগে রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা স্থানে হাতে লেখা পোস্টার লাগানো হয়। এতে রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি দ্রুতগতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রদেরও দাবি হয়ে ওঠে। আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পায়। ভাষা আন্দোলনে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্লোগান আরও জোরালো হয়ে ওঠে।