খুলনায় শিশু অঙ্কিতা হত্যা মামলায় আসামি প্রীতম রুদ্রের যাবজ্জীবন

0

খুলনা ব্যুরো ॥ খুলনায় আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে হত্যা মামলায় আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি প্রীতম রুদ্র কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নগরীর দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে নগরীর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার সুশান্ত দের কন্যা অঙ্কিতা দে নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় সরকারি বিনাপানি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর অঙ্কিতার পিতা সুশান্ত দে দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে জিডিটি মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় নগরীর দৌলতপুর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ৬দিন পর তার লাশ পাবলা বণিকপাড়ার একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেফতার করে। হত্যাকােণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে প্রীতম রুদ্র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রায় ঘোষণার পর নিহত অঙ্কিতা দের পিতা সুশান্ত দে সংক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব।
বাদীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে হাইকোর্টে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম ।